
এবিএনএ: কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্রের বৈধতা প্রশ্নে আপিল শুনানির রায় স্থগিত করা হয়েছে। আজ বিকাল ৫টার পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন। এদিকে শুনানির সময় কমিশনের এজলাসে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
দুপুরে তিনটি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বৈধতা প্রশ্নে শুনানি শুরু হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবি এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ ১৫ থেকে ২০ জন আইনজীবি শুনানিতে অংশ নেন। শুরুতেই নির্বাচনী বিধিমালা নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেন আইনজীবিরা। কোন আপরাধে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে, সেটি উপস্থাপন করে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, নির্বাচনী আচরবিধি ভঙ্গের দায়ে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিল করা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। কিন্তু খালেদা জিয়া এখন জেলে আছেন।
তিনি কিভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলেন? যদি অন্য কোন অপরাধে, সাজার কারণে বাতিল করতেন তাহলে আমরা শুনানি করতাম। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়েই বাতিল করেছেন। আমরা এই পয়েন্টের বাইরে যেতে চাই না। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলে এই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, আমরা আপনাদের যুক্তি শুনলাম। বিষয়টি বিকাল ৫টা পর্যন্ত মূলতবি করলাম। এখনই সিধান্ত দিতে পারছি না।
এ সময় আওয়ামীপন্থী আইনজীবি অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কায়সার উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, আমি এ বিষয়ে আরপিও উপস্থাপন করতে চাই। তখন নির্বাচন কমিশনার বলেন, আপনি কি শুনানির জন্য আবেদন করেছেন। না সূচক মাথা নাড়লে নির্বাচন কমিশনার তাকে বসিয়ে দেন। এরমধ্যে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করেন। রিয়াজুল কবিরের বিরুদ্ধে একযোগে উত্তেজনাকর বক্তব্য দিতে শুরু করেন। এসময় খন্দকার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রিয়াজুল কবিরের দিকে এগিয়ে এসে বলেন, বাগড়া দিতে এসেছেন তো নেত্রীকে দেখানোর জন্য। কিন্তু নমিনেশনতো পান নাই। বিএনপিতে যোগ দেন আমরা নমিনেশন দেবো।
Share this content: