
এবিএনএ : যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে এই রেকর্ডসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এরপরই রয়েছে যুক্তরাজ্য। ইউরোপের দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩২ হাজার ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সবগুলো রাজ্য সরকার লকডাউন শিথিলের পরিকল্পনা করছে। আংশিকভাবে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এমন সিদ্ধান্তে ফের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিউইয়র্ক হয়ে উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মূল কেন্দ্র (হটস্পট)। শুধু এ রাজ্যটিতেই ২৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে রাজ্যটিতে আক্রান্ত, মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার ক্রমেই কমছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। গত ২৪ ঘণ্টায় নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮৮ জন। ১৯ মার্চের পর এ সংখ্যা সবচেয়ে কম। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৬১ জনের। ২৬ মার্চের পর যা সবচেয়ে কম। সব দিক দিয়েই পরিস্থিতি ভালো হতে শুরু করেছে বলে মনে করেন কুমো।
নিউইয়র্কের গভর্নর কুমো বলেছেন, আগামী শুক্রবার থেকে রাজ্যটিতে লকডাউন শিথিল করা সম্ভব হবে। যদি নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ সবাই মেনে চলে।বেশকিছু রাজ্য কর্তৃপক্ষ গত এপ্রিলের শেষ দিক থেকেই লকডাউন শিথিলের পরিকল্পনা করে আসছিল। এই সপ্তাহের মধ্যে প্রায় সবগুলো রাজ্যই লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে শুরু করবে। তবে অল্প কিছু রাজ্যে এখনও লকডাউনের কড়াকড়ি থাকছে।
সম্প্রতি পিউ রিসার্চ সেন্টার এক জরিপ প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এখনই লকডাউন শিথিলের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে দেশটির বেশ কিছু রাজ্যে জোরদার লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভও হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ তাতে অংশও নিয়েছেন।
Share this content: