
এবিএনএ: কৃষি জমি নষ্ট করে যত্রতত্র শিল্প-কারখানা করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। এটার অর্থ হলো যেন কৃষি জমি নষ্ট না হয়। যারা ইন্ডাস্ট্রি করতে চায়, তাদের ওইসব অঞ্চলে প্লট দেওয়া হবে। এছাড়া সব ধরনের সার্ভিস দেওয়া হবে। তারা সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে। কারণ আমার কৃষি জমি বাঁচাতে হবে।
বুধবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক লীগের দশম সম্মেলন উদ্বোধন করে তিনি বলেন, দেশের এক খণ্ড জমিও অনাবাদী থাকবে না। এসময় কৃষকলীগে নেতাকর্মীদের কৃষিকাজে সম্পৃক্ত হয়ে অন্তত তিনটি করে গাছ লাগানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া বাংলাদেশ কৃষক লীগের দশম সম্মেলন হচ্ছে প্রায় সোয়া সাত বছর পর। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সম্মেলনস্থলে জড়ো হতে থাকেন কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা। এবারের কাউন্সিলে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিল এবং ৯ হাজার ডেলিগেট।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, কৃষকের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি আমরা উন্নত হবো, শিল্পায়ন করবো। তবে কৃষকদের বা কৃষিকে বাদ দিয়ে নয়। কাজেই আমরা উন্নয়নে কৃষকদের সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষকরাই বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখে। কৃষক ফসল ফলায়, আমরা খেয়ে বেঁচে থাকি। একটি সমাজ ও দেশের জন্য কৃষক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগে কৃষক ফসল ফলাতো, কিন্তু তার পেটে খাবার ছিল না। তাদের পরনের কাপড় ছিল না। কৃষকের অধিকার সংরক্ষণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কৃষক যেন তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। প্রায় ৩ কোটি কৃষক সরকারি সহায়তা পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী হুশিয়ারি দেন, কৃষকের টাকা নিয়ে যেন অনিয়ম না হয়।
Share this content: