আমেরিকালিড নিউজ

কৃষিবিজ্ঞানী সিদ্দিকুরকে নিউইয়র্কে সংবর্ধনা

এবিএনএ : উত্তরবঙ্গ তথা বাংলাদেশের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট কৃষিবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিক ড. সিদ্দিকুর রহমানকে সংবর্ধনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইনক। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি দলমত নির্বিশেষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ও রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান, সাপ্তাহিক বাঙালি সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, সাপ্তাহিক ঠিকানা সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান, নারী নেত্রী অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, বিশিষ্ট চিকিৎসক চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, বিশিষ্ট রাজনীতিক আব্দুস সামাদ আজাদ প্রমুখ।
সংগঠনের সভাপতি আতোয়ারুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি ড. সিদ্দিকুর রহমানের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন সংগঠনের উপদেষ্টা নূরুল ইসলাম বর্ষন।
বক্তব্য রাখেন ড. সিদ্দিকুর রহমানের সহধর্মিনী শাহানারা রহমান, সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহমান, রাজনীতিক সোলায়মাল আলী, সংগঠনের নেতা ফাহাদ সোলায়মান প্রমুখ।
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতিসহ যা কিছু করি তা বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের জন্য। প্রবাস জীবন ছেড়ে দেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে দেশের মানুষের জন্য সরাসরি কাজ করতে চাই। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হলে জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব আদায় করে নেয়া কঠিন কোনো কাজ নয়। কারণ প্রবাসীদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গুণী মানুষকে যারা সম্মাননা দেন বরং তারাই সম্মানিত হন। ড. সিদ্দিকুর রহমান রাজনৈতিক ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও দলমত নির্বিশেষে সম্মানিত হয়েছেন। তিনি দেশের জন্য কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশের জন্য গর্বের।
উল্লেখ্য, ড. সিদ্দিকুর রহমান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি। বগুড়া জেলার কৃতি সন্তান সিদ্দিকুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেবার আগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউজার্সির সভাপতি এবং ফোবানার আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশ বিজ্ঞানী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাটগারস ইউনিভার্সিটি থেকে একই বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এতে সঙ্গীত পরিবেশনা করেন প্রবাসের জনপ্রিয শিল্পী শাহবুবসহ অন্যরা।

Share this content:

Back to top button