
এবিএনএ: কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক এবং দেশের সফটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের প্রধান সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সাবেক পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ফারুক শনিবার মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
কুমিল্লা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে দেলোয়ার হোসেন ফারুক বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বঙ্গবন্ধু প্রতীক নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। আশা করি সকল দিক বিবেচনা করে দলের নীতিনির্ধারকরা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
আর জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি দল ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণের কল্যাণে কাজ করবো। এই আসনকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত করবো। এজন্য আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীর সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
মনোনয়নপত্র ক্রয়ের পর দেলোয়ার হোসেন ফারুক বলেন, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের জন্য মনোনয়নপত্র কিনলাম। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ২০৪১ সালের মেধা নির্ভর উন্নত বাংলাদেশ গঠনে লাকসাম-মনোহরগঞ্জের মতো একটি গুরত্বপূর্ণ জনপদকে সম্পৃক্ত করে সকলের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। অতীতের মতো সুখে-দুঃখে সকলের পাশে থাকতে চাই।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর জমা দিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও ত্যাগী নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে সু-সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ফারুক।
দেলোয়ার হোসেন ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও আমার এলাকা লাকসাম-মনোহরগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষদের চরম দুর্দিন চলছে। সুবিধাভোগীদের দাপটে প্রতৃক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন কোনঠাসা।
তিনি বলেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জে আওয়ামী লীগ চালায় জামায়াত-বিএনপি আর রাজাকারের বংশধররা। এরচেয়ে কষ্টের ব্যাপার আর কি হতে পারে? আর বর্তমানে দুই উপজেলায় তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা সুবিধাভোগীদের হাতে নির্যাতিতও হচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে পরিবারভিত্তিক রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন দিশেহারা।
দেলোয়ার হোসেন ফারুক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালোবেসে সেই ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেছি। ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্ব ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করছি। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কল্যাণে, আওয়ামী লীগের তৃণমূল-ত্যাগী ও অসহায় নেতাকর্মীদের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
প্রসঙ্গত, দেলোয়ার হোসেন ফারুক লাকসাম উপজেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘আতাকরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তিনি দেশের প্রতিষ্ঠিত তথ্য-প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও আইটি ব্যাবসায়ী।
বর্তমানে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজি লিমিটেডের চেয়ারম্যান। এছাড়া তাঁর অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, রেডিসন বিল্ডার্স অ্যান্ড হাউজিং লিমিটেড, রেডিসন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, রেডিসন মিডিয়া হাউজ ইত্যাদি।
লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের সম্ভান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করা দেলোয়ার হোসেন ফারুক ছাত্রজীবনে লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
Share this content: