আমেরিকালিড নিউজ

কিভাবে গ্রিন কার্ড পেলেন ট্রাম্পের শ্বশুর-শাশুড়ি!: যুক্তরাষ্ট্রে একটাই প্রশ্ন

এবিএনএ : মার্কিন ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের বাবা-মা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বাস করার অনুমোদন পেয়েছেন। বুধবার এই দম্পতির একজন আইনজীবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আর এই ছুতো ধরেই দেশটিতে আবার চাঙ্গা হয়ে উঠছে ‘অভিবাসী স্বপ্ন’ । যুক্তরাষ্ট্রে এখন একটাই প্রশ্ন- অভিবাসীবিদ্বেষী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শ্বশুর-শাশুড়ি কিভাবে গ্রিন কার্ড পেলেন?  ফার্স্টলেডির বাবা-মা ভিক্টর নাভস এবং আমালিয়া নাভস কিভাবে এবং কবে ‘গ্রিন কার্ড’ পেয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তারা কী প্রক্রিয়ায় এবং কখন তাদের বৈধ স্থায়ী বসবাসের অনুমোদন পেয়েছেন সে সম্পর্কে স্বচ্ছতার অভাবে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অভিবাসী কর্মকর্তারাও মুখ খুলছেন না। ‘পরিবারিক-ভিত্তিক’ অভিবাসনের মাধ্যমে তাদের বসবাসের অনুমোদন পেয়েছেন কিনা তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা চলছে। যেটিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘চেইন মাইগ্রেশন’ নামে অভিহিত করেছেন এবং বাতিল করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেলানিয়ার বাবা-মা, স্লোভেনিয়ার এই নাগরিকদ্বয় সম্ভবত সরাসরি নির্দেশে তাদের গ্রিন কার্ড পেয়ে থাকতে পারেন। তাদের ইমিগ্রেশন আইনজীবী মাইকেল জে ওয়াইল্ডস এ ব্যাপারে কোনো ধরনের বিবরণ দিতে অস্বীকার করেছেন। একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে ওয়াইল্ড বলেন, ‘এই পরিবারের সাহায্য এটি একটি বিশেষাধিকার এবং তাদের গোপনীয়তার প্রতি আমার যথারীতি সম্মান রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ইমিগ্রেশন হচ্ছে আমাদের ডিএনএ এবং এ নিয়ে আমরা গৌরব করতে পারি।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেলানিয়া ট্রাম্পের একজন মুখপাত্র স্টেফানি গ্রেশাম এক ইমেইল বাতায় লিখেছেন, তিনি মিসেস ট্রাম্পের বাবা-মাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না কারণ তারা ট্রাম্প প্রশাসনের অংশ নয়। ‘পারিবারিকভিত্তিক’ অভিবাসনের অধীনে প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকান নাগরিকেরা তাদের বাবা-মা, প্রাপ্তবয়স্ক বিবাহিত সন্তান এবং ভাইবোনদের জন্য আবাসনের আবেদন করতে পারেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২১ বছরের নিচে বাবা-মা এবং সন্তানদের জন্য এটি সীমিত করতে চান।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button