এবিএনএ : অতিমারির এই পরিস্থিতিতে সবারই নিত্যদিনের রুটিন বদলে গেছে। অফিসে কিংবা বাড়ির কাজে এসেছে পরিবর্তন। এছাড়া করোনার সংক্রামণে উদ্ভূত পরিস্থিতি অনিশ্চয়তা ও ভীতি সৃষ্টি করছে সবার মনে। এসব কারণে ঘুম কমে গেছে অনেকের। অন্যদিকে, ঘুম কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসেরও সরাসরি ভূমিকা আছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের অধিকাংশের ঘুম কমে গিয়েছে।
কোভিডের রুটিন বদলে যাওয়া বা অনাকাঙ্খিত অবসর তৈরি হওয়ায় রাতজাগার পরিমাণ বাড়ছে। অনেকেরই নেই সকালে অফিস বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। করোনা বিভিন্নভাবে শরীরের ক্ষতি করছে। তার মধ্যে ঘুমের সমস্যাও অন্যতম। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে কোভিড নিয়ে গবেষণারত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস ফুসফুস বা অন্ত্রের যে ক্ষতি করেছে, তার ফলে শ্বাসের সমস্যা, খাবার হজম হওয়ার সমস্যা হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্নায়ুরও ব্যাপক ক্ষতি করেছে। স্নায়ুর এই পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবটি গিয়ে পড়ছে ঘুমের উপর।
করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ থেকে জলদি সেরে ওঠার জন্য বিশ্রাম খুব প্রয়োজন। প্রতিদিন তাই পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। কিন্তু যাদের ঘুমের সমস্যা হচ্ছে, তাদের সুস্থ হয়ে উঠতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত হলো, কোভিডের কারণে ঘুম না আসাটা কোনো মারাত্মক বা ভয়াবহ সমস্যা নয়। সাধারণত, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কয়েক দিন পরেই ঘুমের সমস্যা কেটে যায়। কিন্তু ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত অনিয়মিত ঘুম হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। এক্ষেত্রে হয়তো তাদের ঘুমের ওষুধ দিতে পারেন চিকিৎসকেরা। তবে, কোভিড থেকে সেরে উঠা রোগীদেরও আতঙ্ক বা উদ্বেগ কমাতে হবে। মনকে রাখতে হবে শান্ত। তাহলে ঘুমের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলবে সহজেই।