
এবিএনএ : দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই শিরোপা জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংস। রোববার রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে তারা। এটা সপ্তম ফাইনালে চেন্নাইর তৃতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১০ ও ২০১১ সালে দুইবার শিরোপা জিতেছিল তারা। ৭ বছর পর আবার শিরোপার স্বাদ পেল এন শ্রীনিবাসনের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। রোববার হায়দরাবাদ প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাইকে ১৭৯ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয়। সেই টার্গেটে ব্যাট করতে নামেন শেন ওয়াটসন ও ফাপ ডু প্লেসি। প্রথম কোয়ালিফায়ারে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে ফাইনালে তোলা ডু প্লেসি এবার সুবিধা করতে পারেননি। দলীয় ১৬ রানের মাথায় সন্দীপ শর্মার বলে কট এন্ড বোল্ড হয়ে যান। ১১ বল খেলে করেন ১০ রান।
এরপর জুটি বাঁধেন ওয়াটসন ও সুরেশ রায়না। তারা দুজন ৯.৩ ওভার ব্যাট করেন জুটিবদ্ধ হয়ে। রান তোলেন ১১৭টি! মূলত এই জুটির কাছেই হেরে যায় সাকিব-রশিদরা। রায়না দেখে-শুনে ব্যাট করলেও ওয়াটসন ছিলেন বিধ্বংসী। ১৩৩ রানের মাথায় রায়না আউট হলেও ওয়াটসন শেষ বল পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। তুলে নেন আইপিএলে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৫৭টি বল মোকাবেল করেন অস্ট্রেলিয়ান এই অলরাউন্ডার। তার মধ্যে ১১টি বলকে চারে পরিণত করেন। আর ৮টিকে করেন ছক্কায় পরিণত। ২০৫.২৬ স্ট্রাইক রেটে ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে তার দল চেন্নাই সুপার কিংস জয় পায় ৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে। দাপুটে জয়ে জিতে নেয় শিরোপা।
বিধ্বংসী ইনিংস খেলে সুপার স্ট্রাইকার ও ম্যাচসেরার পুরস্কার পান শেন ওয়াটসন। চেন্নাইর যে দুটি উইকেটের পতন ঘটেছে তার ১টি নিয়েছেন সন্দীপ শর্মা। অপরটি নিয়েছেন রশিদ খান।
তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে হায়দরাবাদ। ফাইনালে যেরকম ব্যাটিং প্রত্যাশিত ছিল তেমনটা করতে পারেনি তারা। শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে-বলে না করতে পারার দৃশ্য ছিল দৃষ্টিকটু। তারপরও কেন উইলিয়ামসনের ৪৭, ইউসুফ পাঠানের অপরাজিত ৪৫, শিখর ধাওয়ানের ২৬ ও সাকিব আল হাসানের ২৩ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল অরেঞ্জ আর্মিরা। কিন্তু শেন ওয়াটসনের ঝোড়ো ইনিংসে এই রান মামুলি হয়ে যায় চেন্নাইর কাছে।
Share this content: