আইন ও আদালতবাংলাদেশলিড নিউজ

প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্ত: ‘নিখোঁজ’ ছেলের পরামর্শ চান কাসেম

এ বি এন এ : যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেমের সঙ্গে কাশিমপুর কারাগারে দেখা করেছেন তার পরিবারের ১০ সদস্য। বুধবার পৌনে চারটার দিকে সাক্ষাত্ শেষে কারাগার থেকে বেরিয়ে তার স্ত্রী জানান, প্রাণভিক্ষার বিষয়ে ‘নিখোঁজ’ ছেলের পরামর্শ চান মীর কাসেম।
মীর কাসেমের স্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তাদের ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেমকে ১৫/২০ দিন আগে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে গেছে। এখন প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ‘নিখোঁজ’ ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চান কাসেম।
এর আগে মীর কাসেমের সঙ্গে দেখা করতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে যান তার পরিবারের সদস্যরা। তারা প্রায় এক ঘণ্টা কারাগারে অবস্থান করেন।
মঙ্গলবার সকাল নয়টায় সুপ্রিম কোটের্র আপিল বিভাগ তার রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেয়। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। একবাক্যে রায় ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রিভিউ পিটিশন ইজ ডিসমিসড’। রায়ে বলা হয়, ‘উই ফাউন্ড হিম গিলটি, কনভিকশন ইজ মেইনটেনেবল’।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আলবদর কমান্ডার ও জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেয় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। চলতি বছরের ৮ মার্চ আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে। রায়ে ১১ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকালে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরদিন মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে আটক করে আলবদর সদস্যরা। ১৯৭১ সালের ২৮ নভেম্বর মীর কাসেমের নির্দেশে আলবদররা তাকে দিনভর নির্যাতন করে। নির্মম অত্যাচারে জসিম মারা যান। পরে নিহত আরো পাঁচজনের সঙ্গে জসিমের মরদেহ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডের এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন মীর কাসেম। গত ২৮ আগস্ট ওই রিভিউ পিটিশনের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়।

Share this content:

Back to top button