
এবিএনএ: যুক্তরাষ্ট্রে চলমান শাটডাউন এড়াতে সীমান্ত সুরক্ষা বিলে সই করতে প্রস্তুত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরই মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করতে জরুরি অবস্থা জারি করবেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের বাকি বরাদ্দ সংগ্রহের জন্যেই ট্রাম্প এ পরিকল্পনা করেছেন। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ- সিনেটে ৮৩-১৬ ভোটের ব্যবধানে গৃহীত হয় সীমান্ত সুরক্ষা বিল। যাতে, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণসহ আনুষাঙ্গিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৩০ কোটি ডলার। যেখানে, পার্লামেন্টের কাছে প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব ছিলো- ৫৭০ কোটি ডলার। ফলে আপাতত যে চুক্তিটি হয়েছে, তাতে মোট ৫৫ মাইল বেড়া নির্মাণে ব্যবহৃত হবে। তবে ট্রাম্প চেয়েছিলেন ২৩৪ মাইল দীর্ঘ লোহার শলাকার দেয়াল নির্মাণ করতে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, ‘দেয়াল নির্মাণ, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের নিরাপত্তার বিষয়ক প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্তে মানবিক সংকট মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা জারিসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। ডেমোক্রেটরা এ পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে এর মাধ্যমে ট্রাম্প ‘ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার’ ও ‘বেআইনী কার্যক্রম’ করতে যাচ্ছেন বলে সতর্ক করেছে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা জারি করলে তা আইনী প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
বৃহস্পতিবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও সিনেটের ডেমোক্রেট নেতা চাক শুমার এক যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জরুরি অবস্থা জারি হবে একটি বেআইনী কাজ, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার। এটি হবে তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভাঙার একটি মরিয়া চেষ্টা, যেখানে দেয়াল নির্মাণের অর্থ মেক্সিকোর কাছ থেকে আদায়ের কথা দিয়েছিলেন তিনি। তিনি মেক্সিকোকে রাজি করাতে পারেননি। এখন মার্কিন জনগণ ও তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছ থেকে তিনি তার এ অকার্যকর ও খরুচে দেয়ালের অর্থ নিতে চান। করদাতাদের অর্থে দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করতে এখন প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের চারপাশ ঘিরে মরিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন।’
সিনেটের রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, ‘প্রশাসনকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, শাটডাউন এড়াতে তিনি বিলে সই করতে প্রস্তুত। কিন্তু, একই সময়ে তিনি জাতীয় পর্যায়ে জারি করতে পারেন জরুরি অবস্থা। এ ব্যপারে তাকে সমর্থন জানাই। প্রত্যাশা-আমার অন্যান্য সহকর্মী এবং বিরোধী বন্ধুরাও বিষয়টি মেনে নিবেন।’ যুক্তরাষ্ট্রে টানা ৩৭ দিন ধরে চলমান অচলাবস্থায় প্রায় আট লাখ ফেডারেল কর্মী বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করছেন।
Share this content: