
এবিএনএ: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয় জাতীয় পর্যায়ে টেলিভিশন পুরস্কার প্রবর্তনের কথা ভাবছে। সোমবার সচিবালয়ে টেলিভিশন গণমাধ্যমের শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, কুশলীদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর আমি আমার সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও ক্ষমতা দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি, যাতে অভিনয় শিল্পীদের এবং দেশের টেলিভিশন শিল্পের উন্নয়ন ঘটে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মতো জাতীয় পর্যায়ে ‘টেলিভিশন পুরস্কার’ প্রবর্তন করা যায় কিনা, সেটি নিয়েও মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা আলোচনা।
তিনি বলেন, যেহেতু এটি একটি জাতীয় বিষয়, এককভাবে আমাদের মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, এটি আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ সময় অভিনয়শিল্পী, নাট্য পরিচালক ও প্রযোজকদের মধ্যে শম্পা রেজা, অরুণা বিশ্বাস, শামস সুমন, সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, এস এম কামরুজ্জামান সাগর, নাজনীন হাসান চুমকী, সুমন শামস, প্রসুন বিশ্বাস, আমর শাইখ প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ড. হাছান বলেন, আগে ক্যাবল নেটওয়ার্কে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কোনও সিরিয়াল ছিল না, সেখানে একটা শৃঙ্খলা আনতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ভারতবর্ষে দেখানোর চেষ্টা শুরু হয় আজ থেকে ৩০ বছর আগে। কিন্তু সেটি তিন দশকেও সফলতার মুখ দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর ২০১৯ সালেই সেপ্টেম্বর মাস থেকে পুরো ভারতবর্ষে ডিটিএইচ ডিসের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রদর্শন করা হচ্ছে, যেটি একটি মাইলফলক।
দেশের অভিনয় শিল্পীদের কথা বিবেচনায় রেখেই আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যেটি আমরা খুব সহসা কার্যকর করতে যাচ্ছি উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, অনেক বিজ্ঞাপনচিত্র বিদেশি শিল্পীদের নিয়ে বানানো হয়, অথচ আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান অভিনয় শিল্পী আছেন, বিজ্ঞাপন নির্মাতাও আছে। দেশের বিজ্ঞাপন নির্মাতারা অতীতে অনেক ভালো বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছেন, যেগুলো শুধুমাত্র পণ্যের বিজ্ঞাপন বলা যাবে না, যেগুলো মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, মানুষকে ভাবায়। ১০ বা ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই সে ধরনের বিষয় উপস্থাপন করা অনেক মুন্সিয়ানার কাজ। সেটি আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন নির্মাতারা, আমাদের অভিনয় শিল্পীরা অতীতে করে দেখিয়েছেন।
Share this content: