এবিএনএ : এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে করোনার ভ্যাক্সিন সংগ্রহে ৯ বিলিয়ন ডলারের (৭৬ হাজার ৫শ কোটি টাকা) তহবিল ঘোষণা করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। করোনা ভাইরাসের টিকা কেনা, এর যথাযথ ব্যবস্থাপনা, বিতরণের জন্য ‘এশিয়া প্যাসিফিক ভ্যাক্সিন এক্সেস ফ্যাসিলিটি (এপিভ্যক্স)’ কর্মসূচির মাধ্যমে এই তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।
শুক্রবার ম্যনিলাস্থ সদরদপ্তর হতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, এডিবির সদস্য দেশগুলোতে দ্রুত ও ন্যায় সঙ্গতভাবে করোনা ভাইরাসের নিরাপদ ভ্যাক্সিন ক্রয় ও কার্যকর বিতরণ করতে এই তহবিল গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া উল্লেখ করেছেন, এডিবির সদস্য দেশগুলো জনগণের জন্য যত দ্রুত সম্ভব করোনার টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই টিকা কেনা ও যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থের প্রয়োজন হবে। তারা যেন এ কাজ নিরাপদ, ন্যায়সঙ্গত ও দক্ষতার সাথে করতে পারে সেজন্য এই তহবিল তৈরি করা হয়েছে। করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে এই তহবিল ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এডিবি উল্লেখ করেছে, এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মারা গেছেন ২ লাখের বেশি মানুষ। করোনার এই সংকটকালীন সময়ে চলতি বছর এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি না হয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ সংকোচন ঘটবে। ১৯৬০ সালের পর এশিয়ার অর্থনীতি এখন সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে।
এডিবি তার সদস্য দেশগুলোর জন্য নিরাপদ, ন্যায়সঙ্গত, ও সকলের জন্য সহজলভ্য ভ্যাক্সিন সংগ্রহের বিষয়টি শীর্ষ অগ্রাধিকারে রেখেছে। টিকাদানের কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। সেইসাথে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান, চলাচল এবং সামাজিক নিরাপত্তার মতো কার্যক্রমে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে আস্থা তৈরি করবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভ্যাক্সিন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খাতে দেশগুলো সহায়তা নিতে পারবে। এছাড়া ভ্যাক্সিন উৎপাদন বাড়ানোর জন্যও সহায়তা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এডিবির এই তহবিল বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন গ্লোবাল এক্সেস ফ্যাসিলিটিসহ (কোভ্যক্স) বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সাথে সমন্বয় করে ব্যবস্থাপনা করা হবে।