
এবিএনএ: আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় সরকার দলীয় প্রার্থীদের প্রাধান্য পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলছে। হামলা, মামলা, বাধা ও হয়রানির কারণে এখনও অনেক বিরোধী দলীয় প্রার্থী নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারছেন না। এমতবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সবাই শঙ্কিত বলে অভিযোগ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন)। আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এসব অভিযোগ করে।
সুজন জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে বলেই আমাদের ধারণা। কিন্তু প্রচারণায় হামলা, বাধা ও হয়রানির কারণে এখনও অনেক প্রার্থী নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারছেন না। তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রতিবন্ধকতার কারণে কেউ কেউ এখনও প্রচারণায় নামতেই পারেননি। ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও সহিংসতার কারণে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে শঙ্কা ও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে যাবেন কি না সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। ভোটাররা যদি অবাধে ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারেন তাহলে সে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না। সে নির্বাচনকে নিরপেক্ষ বলা যাবে না।
সংস্থাটি আরো জানায়, এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ৮৭১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে মোট ৬৬ জন নারী প্রার্থী ৬৭টি নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৬৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। এসব প্রার্থীর মধ্যে স্বল্প শিক্ষিত বা এসএসসির কম শতকরা ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ (৪২১ জন)। মাধ্যমিক গণ্ডি না পেরানো প্রার্থীর হার ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ (২৬৬ জন)। প্রার্থীদের মধ্য ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫২ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ৯৬১ জন। আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মাত্র ৮ শতাংশ বা ৫৬ জন।
এসব প্রার্থীদের মধ্যে মামলা আছে ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৩১৩ জনের বিরুদ্ধে, অতীতে মামলা ছিল ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ বা ৪২২ জনের বিরুদ্ধে। ৩০২ ধারায় মামলা আছে ৫৮ জনের বিরুদ্ধে, অতীতে ছিল ১২১ জনের। উভয় সময়ে ছিল ১২ জনের বিরুদ্ধে। কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে ১৩৬ জন প্রার্থীর। বছরে ৫০ লাখের বেশি আয় করেন ২২৩ জন প্রার্থী। ৫ লাখ টাকা বা তার চেয়ে কম আয় ৯৫১ জনের। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম ও প্রধান সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
Share this content: