এবিএনএ : ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জনকল্যাণমূলক না হওয়ায় জনগণ হতাশ হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলেছেন, বাজেট একটি গতানুগতিক, লোক দেখানো ও আপসকামিতার যা বাস্তবায়ন অসম্ভব। বরং বাজেটে গরিবকে আরও গরিব করবে, ধনীদের আরও ধনী করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে লুটপাটের জন্যই এ বিশাল বাজেট।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, গত বছরের ব্যর্থতা সরকার এ বাজেটে তুলে ধরেনি। বাজেট নিয়ে সরকারের দুরভিসন্ধি রয়েছে। বিশাল বাজেট হলেই বিশাল উন্নয়ন হয় না। এই বাজেট একটি নীল রঙের বিশাল ফাঁকা বেলুনের মতো। দেখতে খুব সুন্দর। একটি সুচ দিয়ে খোঁচা দেবেন। দেখবেন সব শেষ।
‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন: সরকারের ভূমিকা ও জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সভায় আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম। সংগঠনটির উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
মওদুদ আহমদ আরও বলেন, এই সরকারের বাজেট দেয়ার বৈধতা আছে কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ এই সংসদে ১৫৪ জন নির্বাচিত হননি। একটি অনির্বাচিত সরকারের এই ধরনের বাজেট দেয়ার কী বৈধতা আছে- এটা ইতিহাস একদিন পরীক্ষা করে দেখবে এবং তার রায় দেবে।
এদিকে দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন সরকার বিশাল ঘাটতির ঋণনির্ভর ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছে। প্রস্তাবিত বাজেট জনকল্যাণমূলক না হওয়ায় জনগণ হতাশ হয়েছে। তারা জনগণের সরকার নয়, আর এই সংসদ সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। তাই তাদের কাছ থেকে জনকল্যাণমুখী বাজেট আশা করা যায় না। প্রস্তাবিত বাজেট মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না।