এবিএনএ: কাতার বিশ্বকাপে এশীয় দেশগুলোর দাপট চলছেই। সৌদি আরব, জাপানের পর এবার বড় দলকে থমকে দিলো আরেক এশিয়ান দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এবার কোরিয়ানদের শিকার উরুগুয়ে। দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের গোলই করতে দেয়নি কোরিয়ার ফুটবলাররা। যার ফলে ম্যাচ হয়েছে গোলশূন্য ড্র।
একের পর এক আক্রমণ সাজিয়েও গোল আদায় করতে পারেননি সুয়ারেজ-কাভানিরা। লুই সুয়ারেস, ফেদেরিকো ভালভার্দে, এদিনসন কাভানির মতো নাম থাকার পরও টলানো যায়নি দক্ষিণ কোরিয়াকে। কোরিয়ানদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে গোলশূন্য ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ফেবারিট ছিল লাতিন আমেরিকান দেশ উরুগুয়েই। কিন্তু, পুরো ম্যাচে অসংখ্যবার আক্রমণ রচনা করেও দক্ষিণ আফ্রিকার জাল খুঁজে নিতেপারেনি উরুগুয়ের ফরোয়ার্ডরা। যার ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিতে হয় দু’দলকে। এবারের বিশ্বকাপে এশিয়া থেকে স্বাগতিক কাতারসহ অংশ নিচ্ছে মোট ৬টি দেশ। এরমধ্যে কাতার, ইরান এবং অস্ট্রেলিয়া বাদে বাকি তিনটি দেশই এখনও পর্যন্ত অপরাজিত।
গত রাশিয়া বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়া পরের পর্বে যেতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু চমকে দিয়েছিল গ্রুপের শেষ ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে। চার বারের বিশ্বজয়ীরা সেই ম্যাচে হেরে গিয়ে গ্রুপ থেকেই ছিটকে যায়। এবারও প্রথম ম্যাচে উরুগুয়েকে হারিয়ে চমকে দেওয়ার সুযোগ ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। উরুগুয়ের গোলকিপার দুর্দান্ত কিছু সেভ না করলে সেই কাজ করেও ফেলতে পারতেন সন হিউং মিনরা।
শেষের ১০ মিনিট দুর্দান্ত খেলা হল। দেখে মনে হচ্ছিল, যে কোনও দল গোল করে ফেলতে পারে। রিয়াল মাদ্রিদের ভালভার্দের দূরপাল্লার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পর ক্ষণেই প্রতি আক্রমণে শট নিয়েছিলেন সন হিউং মিন। অল্পের জন্য সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধে দু’দলই একে অপরকে মেপে নেওয়ার খেলায় নেমেছিল। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু গোলের সুযোগ কোনও দলের কাছেই খুব বেশি আসেনি। মাঝ মাঠে কোরিয়ার ইন-বিয়োম দুর্দান্ত খেলছিলেন। বল পাস করা থেকে নিয়ন্ত্রণ, সব দিকেই বাকিদের থেকে অনেকটা এগিয়েছিলেন। বিরতির একটু আগে উরুগুয়ের দিয়েগো গোডিনের হেড বারে লেগে ফিরে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও খুব ম্যাড়মেড়ে হয়। কোনও দলই সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। তবে শেষ ১০ মিনিটে খেলা জীবন্ত হয়ে ওঠে। একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে দুই দল। তবে গোলের মুখ শেষ পর্যন্ত খোলেনি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশংসা প্রাপ্য। গোটা ম্যাচে তারা স্নায়ু ধরে রেখে ভাল খেলেছে। উল্টো দিকে বড় নাম থাকা সত্ত্বেও ভয় পায়নি।