এ বি এন এ : হাদিসে এসেছে, ‘প্রত্যেক নবির জন্যই রয়েছে একটি কবুলযোগ্য দোয়া’ এ কথাটির তাৎপর্য হলো- আল্লাহ তাআলা সকল নবিকেই নির্দেশ প্রদান করেছেন যে, তোমরা তোমাদের বিরোধীদের ধ্বংসের জন্য বদ-দোয়া কর। সুতরাং তাদের বদ-দোয়া অনুযায়ী অনেক জাতিকেই আল্লাহ তাআলা ধ্বংস করে দিয়েছেন।
সে প্রসঙ্গেই বিশ্বনবি বলেন, ‘প্রত্যেক নবিকে আল্লাহ তাআলা দোয়ার যে অধিকার দিয়েছেন, নবিগণ সে অধিকার প্রয়োগে তাড়াহুড়া করেছেন। যেমন- হজরত নুহ আলাইহিস সালাম কর্তৃক তাঁর উম্মতের ধ্বংসের জন্য বদ-দোয়ার ফলে সেই উম্মতের অবাধ্যদেরকে আল্লাহ তাআলা তুফান ও প্লাবনে ডুবিয়ে মেরেছেন।
অনুরূপভাবে হজরত সালেহ আলাইহিস সালাম স্বীয় উম্মতের ধ্বংসের জন্য বদ-দোয়া করেছিলেন, ফলে হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম-এর এক বিকট চিৎকারে তারা ধ্বংসযজ্ঞের উপত্যকায় চিরতরে বিলীন হয়ে যায়। হাদিসটি হলো-
এ হাদিসে বিশ্বনবি বলেন, ‘আমি সেই দোয়ার অধিকারকে সংরক্ষিত করে রেখেছি।’ অর্থাৎ বিরুদ্ধবাদীদের অত্যাচার-নির্যাতন ও কষ্টের ওপর ধৈর্যধারণ করেছি। তৎক্ষনাৎ তাদের জন্য বদ-দোয়া করিনি। কেননা আল্লাহ তাআলা আমাকে ‘রাহমাতুললিল আ’লামিন’ তথা বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমার জন্য শোভনীয় নয় যে, আমি কারো ধ্বংসের উপকরণ হব, বদ-দোয়া করে কাউকে ধ্বংস করে দেব।
বরং দোয়া করার সেই প্রাপ্ত অধিকারকে আমি কিয়ামাতের দিনের জন্য সংরক্ষিত রেখেছি। এ অধিকারকে পার্থিব বদ-দোয়ায় প্রয়োগ না করে কিয়ামাত দিবসে আমার এমন উম্মতের জন্য শাফাআ’ত করব, ‘যে এ দুনিয়া হতে ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু বরণ করেছে, যদিও সে পাপিষ্ট ও গোনাহগার হয়।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ হাদিস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বিশ্বনবির সঠিক মতাদর্শ বাস্তব জীবনে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।