
এবিএনএ : উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্র ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের মধ্যে যখন বাক-বিতণ্ডা চরম আকার ধারণ করেছে তখন ট্রাম্প যুদ্ধ-প্রস্তুতির কথা বললেন। যদিও ট্রাম্প জানিযে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচীর মোকাবিলায় শক্তির ব্যবহার ওয়াশিংটনের প্রথম পছন্দ নয়।
গতকাল (মঙ্গলবার) হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প সামরিক শক্তি প্রয়োগের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমরা দ্বিতীয় অপশনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং আমরা যদি তা বেছে নিই তাহলে তা হবে ভয়াবহ ধ্বংসাত্মক। আমি আপনাদের বলতে পারি এটা হবে উত্তর কোরিয়ার জন্য ধ্বংসাত্মক। এটাকে বলে সামরিক ব্যবস্থা এবং যদি আমাদেরকে সামরিক ব্যবস্থা নিতে হয় তাহলে উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করে ছাড়ব।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, তিনি খুব খারাপ কাজ করছেন। তিনি এমন কিছু বলছেন যা কখনো বলা উচিত না।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মারমুখি বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতিতে এমন আশঙ্কা জেগেছে যে, যেকোনো ধরনের ভুলের ফলে নজিরবিহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষভাবে ৩ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়া তার ষষ্ঠ ও সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক পরীক্ষার পর থেকে এমন আশঙ্কা আরো বেড়ে গেছে।
উত্তর কোরিয়া বর্তমান অবস্থার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগের মার্কিন প্রশাসনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ ২০/২৫ বছর আগেই উত্তর কোরিয়ার বিষয়টি শেষ করা যেত এবং তা হতো অনেক সহজ।
Share this content: