এবিএনএ : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির কাছে ১০ জনের নামের তালিকা জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এসে এ তালিকা জমা দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। তালিকা জমা দেওয়ার পর সেলিম মাহমুদ বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগ। সার্চ কমিটি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সুযোগ নেই।
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটির কাছে পাঠানোর জন্য গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম জমা দেন দলের নেতারা। সেখান থেকেই বাছাই করে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, ও্বই ঠকে সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাবের বিষয়ে এককভাবে কোনো দায়িত্ব নেবেন না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে বৈঠকে উপস্থিত সভাপতিমণ্ডলীর ১৩ জন সদস্যের প্রত্যেককে নিজ নিজ পছন্দের নামের তালিকা জমা দিতে বলেন তিনি। এ অবস্থায় ১২ জন নেতা সাদা কাগজে নিজেদের পছন্দের নাম জমা দেন। সভাপতিমণ্ডলীর নবনির্বাচিত সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া কোনো নাম প্রস্তাব করেননি।
বৈঠক সূত্র জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নেতারা বিভিন্ন সংখ্যক নামের প্রস্তাব দেন। এর মধ্যে কিছু কমন নামও রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত নামের তালিকা জমা পড়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এগুলো থেকে বাছাই শেষে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেওয়া হলো।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে। এ লক্ষ্যে কমিটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চেয়েছে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।