কখনই প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না মিশেল ওবামা

এবিএনএ : বিদায়ি মার্কিন ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা অব্যাহতভাবে তার স্বামী বারাক ওবামার থেকে বেশি সমর্থন উপভোগ করে আসছেন। আর তার সমর্থকরা চাইছেন তিনি ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করুক। তবে, তিনি প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন না। ২০২০, ২০২৪ বা কোন বছরই নয়। এমনটা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। কিন্তু এবারের নির্বাচনি মঞ্চে অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছে ফার্স্টলেডি মিশেল। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা শিবির মিশেলকে প্রচারণার মাঠে নামিয়েছে। সবথেকে সম্প্রতি বৃহস্পতিবার নর্থ ক্যারোলিনায় একটি নির্বাচনী র্যালিতে হিলারির সঙ্গে এক মঞ্চে আসেন মিশেল। সেখানে ১০ হাজার সমর্থক মিশেল ওবামাকে উচ্ছসিত স্বাগত জানান।
গ্যালপের জরিপ মোতাবেক ৬৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে মিশেল ওবামার প্রতি। এতেই বোঝা যায় কেন তার ভক্তরা চাইছেন তিনি ভবিষ্যতে ওভাল অফিসের দৌড়ে মাঠে নামুক। তবে, বারাক ওবামা এমন সম্ভাবনা নাকচ করে ছিলেন। শুক্রবার একটি রেডিও অনুষ্ঠানে বারাক ওবামা বলেন, ‘মিশেল কখনই প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেনা। সে একজন প্রতিভাবান ও দারুণ মানুষ। আমি তাকে নিয়ে অসম্ভব গর্বিত। তবে, নিজে প্রার্থী হওয়ার মতো ধৈর্য বা ইচ্ছা কোনটাই মিশেলের নেই। এ বিষয়ে আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন।’
মিশেল ওবামা নিজেও অবশ্য এর আগে এমন সম্ভবনা নাকচ করে দিয়েছিলেন। মার্চ মাসে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট পদে লড়বো না।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘হোয়াইট হাউজের বাইরেও আমার অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। এমন সম্ভাবনাও আছে যে অনেক মানুষের কাছে আমার কথা পৌছুবে যেটা এখন আমি ফার্স্টলেডি হওয়ার কারণে সম্ভব হচ্ছে না। আর আমি যত বেশি সম্ভব মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আমি মনে করি আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট না হয়েও সেটা ভালোভাবে করতে পারবো।’
তাহলে, হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর কি করবেন জনপ্রিয় ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা? কিছু ধারণা অবশ্য তার কথাতেই পাওয়া গেছে। জুন মাসে ‘লেট গার্ল লার্ন’ উদ্যোগের জন্য ২ কোটি ডলার অর্থায়নের ঘোষণা দেয়ার সময় মিশেল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ফার্স্টলেডি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষ হওয়ার পরও তিনি মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করে যেতে চান। সারা জীবনই এ ইস্যুতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করার বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিলেন একটি সম্পাদকীয়তে। আটলান্টিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ওই নিবদ্ধে মিশেল ওবামা বিশ্বের ৬ কোটি মেয়েদের কথা তুলে ধরেছিলেন যারা স্কুলে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। তিনি লিখেছিলেন, ‘একজন ফার্স্টলেডি, একজন মা আর একজন মানুষ হিসেবে এসব মেয়েদের ফেলে রেখে যেতে পারি না। আমার এদের হয়ে জোরালো কণ্ঠে কথা বলা অব্যাহত রাখতে চাই।’
এছাড়াও হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে এবং সামরিক বাহিনীর পরিবারদের জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি করেন মিশেল ওবামা।
Share this content: