এবিএনএ: ‘ইসকন’ কী ধরনের সংগঠন, এই সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন আছে কিনা, এই সংগঠনের সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামীকাল বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে এসব তথ্য আদালতে জানাতে বলা হয়েছে।
বুধবার এ আদেশ দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর আগে, ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে এনে সংগঠনটির কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে আদালতের কাছে আবেদন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। এ সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে ইসকনের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চান আদালত।
সার্বিক বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ইসকনের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুর্ভাগ্যজনক বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছি। তিনি বলেন, ওই ঘটনা ফৌজদারি অপরাধ, এ কারণে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তবে, ইসকন নিষিদ্ধ হবে কিনা, তাদের নিবন্ধন আছে কিনা, এসব সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ইসকন নিষিদ্ধ করা এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন একজন আইনজীবী। গণমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে আদেশ প্রার্থনা করেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ইসকন ও সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপ কালকের মধ্যে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। আমরা আগামীকাল আদালতের কাছে বিষয়টি জানাব।