মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে ‘সব আসনে ইভিএম, প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বলেন’—এমন উষ্মা প্রকাশ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘দেখুন, এই সরকার যে পুরোপুরিভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে, তার প্রমাণ হচ্ছে এটা। প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বলেন, ৩০০ আসনে নির্বাচন হবে। যে দায়িত্বটা হচ্ছে সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। এটা থেকে প্রমাণিত হয় যে, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা অর্থাৎ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলেছি যে, বর্তমান অবৈধ হাসিনা সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এর মধ্যে এতটুকু ফাঁকফোকর কিচ্ছু নেই। এই সরকারকে যেতে হবে, ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার পরে তবেই শুধু একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে, পরিবেশ তৈরি হবে।’
সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি আসবে কি না, প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আমরা দেড় মাস আন্দোলন করেছি সারা দেশে। আমাদের দফা তো একটা না, অনেকগুলো। আমরা রাজনৈতিক দল, আমাদের রাজনীতির মূল্য লক্ষ্য হচ্ছে দেশের রাজনীতিকে ঠিক করা। এটা ঠিক হলে তেলের দামও ঠিক হয়ে যাবে, সরকার পরিবর্তন হলে তেলের দামও ঠিক পর্যায় আসবে।’
গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। এর আগে দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাসচিবের সভাপতিত্বে যৌথ সভা হয়।