এবিএনএ : মতপ্রকাশের অধিকারের দাবিতে ফ্রান্সের তরুণী মিলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলাম ও পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের নিন্দা করেন। ফলে নানা রকম হুমকি ও হয়রানির মুখোমুখী হতে হয় তাকে। ইসলাম বিদ্বেষমূলক একটি ভিডিও পোস্ট করায় তাকে স্কুলও পরিবর্তন করতে হয়েছিল। গত ৮ জুলাই মিলাকে হয়রানির দায়ে ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে দেশটির আদালত। এর পরদিন মিলা প্যারিসের বৃহত্তম গ্র্যান্ড মসজিদের পরিদর্শনে আসেন।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক স্ট্রেইট টাইমস’র প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারিসের বৃহত্তম গ্র্যান্ড মসজিদ পরিদর্শনের সময় তাকে ফরাসি ভাষায় অনূদিত কোরআনের একটি কপি উপহার দিয়েছেন মসজিদের প্রধান ইমাম শামসুদ্দিন হাফিজ। পবিত্র কোরআনের অনুবাদের একটি কপি উপহার পেয়ে মিলা জানান, ‘এটি শান্তির বার্তা বহন করে, যা আমাদের সবার জন্য খুবই প্রয়োজন।’ মসজিদ পরিদর্শনের এই ভ্রমণ ‘সব জটিলতা দূর করতে নতুন একটি সুযোগ’ তৈরি করবে বলে তিনি জানান।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মিলাকে প্যারিসের শতবর্ষের মসজিদে ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছেন সেখানকার ইমাম হাফিজ। মসজিদের মূল স্থান, মিনার, পার্কসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন তিনি। দুই ঘণ্টা ধরে মসজিদ পরিদর্শন শেষে ইমাম হাফিজ বলেন, ‘মসজিদের দরজা সবার জন্য উম্মুক্ত থাকবে। আমরা তাকে ইসলামের সঠিক চিত্র দেখাতে চাই। আমি বিশ্বাস করি যে, মিলার কঠোর বাক্য হয়তো অনলাইন বুলিংয়ের সুনির্দিষ্ট কিছু কনটেন্টের ভিত্তিতে ছিল।’
২০২০ সালে ইসলামের বিরুদ্ধে তার বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশের পর অচেনা এই স্কুল শিক্ষার্থী ফ্রান্সে তুমুল পরিচিতি পান। তার সমর্থকরার তাকে বাকস্বাধীনতার সাহসী যোদ্ধা হিসেবে মনে করলেও অন্যরা ইসলাম বিদ্বেষী ও উসকানিদাতা হিসেবে তার তীব্র সমালোচনা করে থাকেন।