এবিএনএ: ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের কুখ্যাত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সঙ্গে ছিলেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং আয়নাঘরে গুম হওয়া ভুক্তভোগীদের কয়েকজন। আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবক্ষেত্রে আইয়্যামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার। যারা এমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করা হবে।’ গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। তখন কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে আয়নাঘর পরিদর্শনের আহ্বান জানান।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা জানান শিগগিরই তিনি আয়নাঘর পরিদর্শনে যাবেন।
এদিকে গত জুলাইয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের যে টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি তিনি চিনতে পেরেছেন। দেয়ালের উপরের অংশের খোপগুলোতে এক্সস্ট ফ্যান ছিল বলে জানান তিনি।
এছাড়া গত জুলাইয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের যে টর্চারসেলে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে রাখা হয়েছিল আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি চিনতে পারেন তিনি। এই কক্ষের একপাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয় এবং দেয়াল রং করা হয়।