এবিএনএ : বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম দিন শুক্রবার বাদ ফজর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
১৭টি জেলা থেকে সড়ক পথ, রেলপথ ও নৌপথসহ সব পথেই মুসল্লিদের কাফেলা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দিকে। বৃহস্পতিবার থেকে আসতে থাকা মুসল্লিদের ঢল শুক্রবারও অব্যাহত থাকে। শুক্রবার পবিত্র জুম্মার নামাজে লাখ লাখ মুসল্লি এক সঙ্গে জুম্মার নামাজ আদায় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় গাজীপুর সহ আশপাশের অঞ্চল গুলে থেকে থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি জুম্মার নামাজ আদায় করতে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করবেন।
এ বছর প্রথম পর্বে ১৭টি জেলা অংশ নেয়ায় চটের বিশাল সামিয়ানার নীচে মুসল্লিদের কোন ঠাসাঠাসি নেই। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিদের অনেকে মূল প্যান্ডেলের নিচে বসেরই জুম্মার নামাজ আদায় করার সুযোগ পাবেন।
সকাল থেকে টঙ্গী ও এর আশপাশের লোকজন ইজতেমায় বৃহত্তর জুমার নামাজের জামাতে অংশ নিতে পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। শুক্রবার বাদ ফজর থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জিকির আসকার ইবাদত বন্দেগীতে টঙ্গী এখন এক পবিত্র পূণ্যভূমিতে পরিণত হয়।
হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ হলো এ বিশ্ব ইজতেমা। ইসলামের দাওয়াতী কাজ বিশ্বব্যাপি পৌঁছে দেওয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বিশ্ব ইজতেমা থেকেই দাওয়াতি কাজে বের হন।
ইজতেমা সূত্র জানায়, বাদ ফজর উর্দূতে আম বয়ান করেন ভারতের হযরত মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খোরশেদ।
আজ ইজতেমা ময়দানে বৃহত্তর জুমা’র নামাজ অনুষ্ঠিত হবে এতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশের কাকরাইল মসিজদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের। বাদ আসর বয়া করবেন ভারতের মাওলানা ওয়াসিমুল ইসলাম। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন দিল্লির হযরত মাওলানা শওকত আলী।
এবারে প্রথম দফায় বিভিন্ন জেলার মুসল্লিদের জন্য পুরো ময়দানকে ২৭টি খিত্তায় (ভাগে) ভাগ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট খিত্তায় নির্দিষ্ট জেলার মুসল্লির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাব কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করেছে। সিসি ক্যামেরা মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা কন্ট্রেল রুম থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। খিত্তায় খিত্তায় সাদা পোষাকে আইনশৃংখলা বাহিনী সদস্যরা অবস্থান করছেন। জানা গেছে, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ৫টি করে স্তরে বিভক্ত হয়ে পোশাকে ও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া বাইনোকুলার, মেটাল ডিটেক্টর, নৌ-টহল, চেকপোষ্ট। দুই পর্বে প্রায় ১২ হাজার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন।
শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজ আদায় করতে রাজধানী ঢাকা থেকে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাসহ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের ভিআইপি অতিথিরা ইজতেমা ময়দানে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।