আন্তর্জাতিক

আবারো ‍খুলে দেয়া হলো বিশ্বের বৃহত্তম কাঁচের সেতু

এ বি এন এ : উদ্বোধনের ১৩ দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চীনে নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম কাঁচের সেতু। রবিবার আবারো সেতুটি চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
স্থানীয় সিলি কাউন্টির ম্যাজিসট্রেট গাও জিংশেং বলেছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে সেতুটি বন্ধ করা হয়েছে এমন গুজব উঠেছিল। এটা সত্যি নয়। এর নিরাপত্তার বিষয়টি আগে থেকেই স্পষ্ট ছিল।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সেতু পরিদর্শনে যারা আসেন তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা মনে করেছি সেতুর চারপাশ এবং এর পরিবেশ আরো উন্নত করা দরকার। পরীক্ষামূলকভাবে সেতুটি চালু করার সময় যে ধরনের সমস্যাগুলো আমাদের চোখে পড়েছে সেগুলো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতেই সেতুটি বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এর আগে বলা হয়েছিল জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছ সেতুটি।  মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন কে সেতু কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র জানান, বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের চাপ ব্রিজটি নিতে পারছেনা। তবে সেতুটিতে কোনোরকম ফাটল ধরেনি বা দুর্ঘটনা ঘটেনি।
চীনের হুনান প্রদেশের ঝাংজিয়াজে রয়েছে বিশাল এক চিত্তাকর্ষক ন্যাশনাল পার্ক ঝাংজিয়াজ ন্যাশনাল ফরেস্ট পার্ক। এ পার্কের অপূর্ব ও বৈচিত্রপূর্ণ প্রকৃতি বিশ্বখ্যাত। পর্যটকের আনাগোনা আছে এখানে। এখানকার পাহাড় ও পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা সবুজ গাছপালা বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরনের চোখে পড়ে যায়।
তিনি তার ২০০৯ সালের বিখ্যাত চলচিত্র ‘এভাটার’-এ এখানকার প্রকৃতিকে তুলে ধরেন। চলচ্চিত্রে দেখানো এখানকার একটি পাহাড়ের পূর্ব নামের সঙ্গে এভাটার লাগিয়ে বর্তমান নাম ‘এভাটার হ্যালেলুজাহ’ পাহাড় রাখা হয়েছে। ঝাংজিয়াজে ন্যাশনাল পার্কের এমন দুটো পাহাড়ের চূড়ার সঙ্গে মেলবন্ধ তৈরি করেছে এ সেতু। ৪৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি নির্মানে খরচ পড়েছে ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার। মাটি থেকে ৩০০ মিটার উপরে সেতুটি। তিন স্তরের স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে তৈরি হয়েছে। এতে ৯৯টি পেন ব্যবহার করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান,৬ মিটার প্রশস্ত এই সেতুটির স্থপতি হায়েম ডোতান। সেতুটিতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৮ হাজার মানুষকে ওঠার অনুমতি দেয়া হয়।
সেতুটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যে, একবারে ১০ হাজার মানুষ ওই সেতুতে উঠলেও এর কোনো ক্ষতি হবে না। এ বছরের আগস্টে পরীক্ষামূলক হিসেবে সেতুটি চালু করা হয়। কিন্তু চালু হওয়ার মাত্র ১৩ দিনের মাথায় সেতুটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button