জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

আবরার হত্যার সিসিটিভির সেই ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ

এবিএনএ: অবশেষে প্রকাশ করা হল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার সিসিটিভির সেই ভিডিও ফুটেজ। সোমবার সন্ধ্যার পরে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের একটি পেজ থেকে এ ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। এর আরে এ ফুটেজ প্রকাশ নিয়ে বুয়েটের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সিসিটিভির সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। প্রকাশ হওয়া এক মিনিট ১৫ সেকেন্ডর ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাত কয়েকজন শিক্ষার্থী আবরারকে ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই শিক্ষার্থীদের পেছন পেছন কয়েকজনকে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে।

সিসিটিভির সম্পূর্ণ ভিডিও প্রকাশ নিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে ডাকসু ভিপি বলেন, বুয়েট প্রশাসন যদি সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে যদি কোনো ধরনের নাটক করে তাহলে সেই প্রশানকে বুয়েট ছাড়তে হবে। হত্যাকারীকে প্রশ্রয়ের জন্য কোনো আলামত লুকানোর চেষ্টা করলে তা আমরা হতে দেব না। বুয়েট প্রশাসনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনার চিন্তা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ধরনের প্রশাসন রয়েছে যে হত্যাকাণ্ডের পর হলের সিসিটিভির ফুটে সরিয়ে ফেলেছে।’

ভিপি নুর বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ আপনার যতই সরিয়ে ফেলুন না কেন আবরার হত্যার বিচার দ্রুত সময়ে করতে হবে। অন্যথায় সারা দেশ আবরার হত্যাকাণ্ড বিচার দাবিতে অগ্নিস্ফূলিঙ্গের ন্যায় জ্বলে উঠবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষের ভেতর ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে আবরার মরদেদ দোতলা ও একতলার মাঝ খানের সিঁড়ির ওপর রেখে পালিয়ে যায় তারা। যে কক্ষটিতে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ওই কক্ষটিতে ছাত্রলীগের নেতারা থাকতেন। তারা সবাই এখন পলাতক। হলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী একদল নেতাকর্মী তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

হল শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ফাহাদকে জেরা ও পেটানোর সময় ওই কক্ষে অমিত সাহা, মুজতাবা রাফিদ, ইফতি মোশারফ ওরফে সকালসহ তৃতীয় বর্ষের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই কক্ষে এসে দ্বিতীয় দফায় ফাহাদকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন। তারা সবাই মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী।

https://youtu.be/3XFpyLUakCc?t=1

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button