এ বি এন এ : কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের নির্মাণ ও ব্যবহার চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে আজ । রাজধানীর পেট্রোসেন্টারে পেট্রোবাংলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চুক্তির ১৮ মাসের মধ্যে টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হবে। এটির এলএনজি ধারণ ক্ষমতা হবে এক লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার। রি-গ্যাসফিকেশন করে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। ২০১৮ সালের প্রথমার্ধের মধ্যেই গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া যাবে এখানকার এলএনজি।
পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, টার্মিনালটি নির্মাণ ও ১৫ বছর পরিচালনা করবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। চুক্তি অনুযায়ী, টার্মিনালটি ব্যবহারের জন্য ভাড়া হিসেবে কোম্পানিটির অনুকূলে সর্বমোট ৯ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হবে পেট্রোবাংলাকে। এর পাশাপাশি এই পরিমাণ অর্থের বিপরীতে কর, ভ্যাট ও ইনস্যুরেন্স ফিও পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া নির্ধারিত সহায়তা ফি হিসেবে দৈনিক ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৮৬ ডলার, পরিচালন সহায়তা ফি ৪৫ হাজার ৮১৪ ডলার এবং টার্মিনাল পরিচালককে ৩২ হাজার ডলার পরিশোধ করতে হবে।
প্রতি ইউনিট গ্যাস রি-গ্যাসিফাই করতে ৪৯ সেন্ট খরচ নিবে এক্সিলারেট এনার্জি। ইতিমধ্যে এই গ্যাস চট্টগ্রামে সরবরাহ করতে ৯১ কিলোমিটার দীর্ঘ মহেশখালী-আনোয়ারা পাইপলাইন নির্মাণ করেছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে এই ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। দুই বছরের মধ্যেই (ফাস্ট ট্রাক) প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয়ার পরও প্রকল্পটির কাজ এগোয়নি। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পেট্রোবাংলা ও এক্সিলারেট এনার্জির মধ্যে টার্ম শিট চুক্তি (বিনিয়োগের পূর্বে শর্ত নির্ধারণের ভিত্তিচুক্তি) স্বাক্ষরের পর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় গতি আসে।