
উল্লেখ্য, ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এক মাসে এই সংক্রমণে দেশে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২১৮ জন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ আছে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শপিংমলসহ মার্কেটও বন্ধ। সংক্রমণের আশঙ্কায় মসজিদে প্রতি ওয়াক্তের নামাজে সর্বোচ্চ ৫ জন ও শুক্রবার জুমার নামাজে ১০ জনের বেশি নিয়ে জামাত করা যাবে না বলে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তবুও করোনা সংক্রমণ কমছে না। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন দেশবাসী।
এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে থাকা বন্দিদের মুক্তি দেয়ার কথা ভাবছে সরকার। সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, লঘু অপরাধে যারা দীর্ঘদিন কারাগারে আছেন এমন আসামিদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে হত্যা, ধর্ষণ ও এসিড মামলার আসামী ছাড়া ছোটখাট অপরাধে যারা দীর্ঘদিন কারাগারে আছেন এমন কয়েদিদের কিভাবে মুক্তি দেয়া যায় সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি নীতিমালা তৈরি করছে। জানা গেছে, সরকারের এমন সিদ্ধান্তের আলোকেই বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের মুক্তি চেয়ে এ চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে চিঠিতে, হত্যা, ধর্ষণ, মানবতাবিরোধী অপরাধে অপরাধী কিংবা যারা দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তাদের ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। শুধু রাজনৈতিক মামলায় যেসব নেতাকর্মী কারাগারে আছেন তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
Share this content: