এবিএনএ : সিনেমার প্রচারে নতুন কৌশলী উপায় গ্রহণ করেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় দুই তারকা পাওলি দাম ও ইন্দ্রনীল। সৌরভ চক্রবর্তীর নতুন সিনেমা ‘অরণি তখন’ নিয়েই এই কৌশলে প্রচারে অংশ নিয়েছেন তারা।
মুক্তির অপেক্ষায় পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তীর ‘অরণি তখন’। শর্বাণী মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘কামড়’ অবলম্বনে ছবির চিত্রনাট্য। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস থেকে ২০০২-এর গোধরা কাণ্ড, দশ বছরের এক অস্থির সময়কালে তিনজন ভিন্ন ধর্মের মানুষের জীবনের গল্প, প্রেমের গল্প ‘অরণি তখন’।
ছবির মুখ্য বিষয়ে উঠে এসেছে ধর্মের কথা, জাতপাতের কথা। ছবির মুখ্য চরিত্র অরণি, যে বিভিন্ন সময়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, নানাভাবে অত্যাচারিত হয়েছে শুধুমাত্র ধর্মের খাতিরে। তাই ট্রেলারের শেষে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছবির ‘অরণি’ পাওলিকে বলছেন, কোনও ধর্ম নয়, পদবী নয়, শুধু তোমার পরিচয়, অরণি।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, পাওলি ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও প্রতীক বব্বর। এটিই প্রতীকের প্রথম বাংলা ছবি। মুক্তির আগে ছবির প্রচারে ব্যস্ত টিম।
প্রচারের এখন বড় হাতিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সেই কথা মাথায় রেখেই টুইটারে ছবির পুরো টিম শুরু করেছে নতুন মুভমেন্ট । যার মুখ্য বক্তব্য, ধর্ম বা পদবী নয়, মানুষের পরিচয় সে মানুষ, যেখানে ধর্মের নামে কোন বিভেদ নেই, নেই কোন বিদ্বেষ।
তাই নিজেদের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে পদবি বাদ দিয়েছেন পাওলি, ইন্দ্রনীল। পরিচালক সৌরভের মতে, যে অস্থির সময়ে আমরা বাস করছি, সেইরকমই এক অস্থির সময়ের প্রেমের গল্প ‘অরণি তখন’। কিন্তু সবকিছুর উপরে মনুষ্যত্বকেই আমরা তুলে ধরতে চাই এই ছবির মধ্য দিয়ে।
অন্যদিকে পাওলি বলেন, যে ঘৃণা, বিদ্বেষের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি, সেখানে এরকম একটা মুভমেন্টের খুবই দরকার। সবাইকে জানানো উচিত, মনুষ্যত্বই শেষ কথা।
পাওলি ও সৌরভের সঙ্গেই একমত প্রতীক বব্বর। তিনি মনে করেন,রোজই হেডলাইনে থাকে ঘৃণা, বিদ্বেষ, হিংসার খবর। যেকোনও পাবলিক ফিগারের দায়িত্ব ভালবাসা, শান্তি, মনুষ্যত্বের প্রচারে এগিয়ে আসা। এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে একটাই কথা বলতে চাওয়া, ধর্ম, রাজনৈতিক রং, জাতপাতের ভেদ থেকে বেরিয়ে প্রত্যেকটা মানুষকে সম্মান করা উচিত।