আমেরিকালিড নিউজ

অভিবাসী পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ

এবিএনএ : যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী পরিবারকে বিচ্ছিন্ন রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন মার্কিনীরা। গতকাল শনিবার দেশটির ৫০ টি অঙ্গরাজ্যের অন্তত ৬৩০টি স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয় রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে। হোয়াইট হাউসের সামনেও বিক্ষোভ হয়। মানবাধিকার কর্মী থেকে শুরু করে ধর্মীয় নেতারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নতুন অভিবাসন নীতি থেকে সরে আসার দাবি জানান। খবর বিবিসি’র
মেক্সিকো সীমান্তে আটক হওয়া মা-বাবাদের থেকে শিশুদের আলাদা করে রাখছে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও সমালোচনার মুখে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে সেই প্রক্রিয়া স্থগিত করেন। আদালতে জমা দেওয়া এক নথিতে জানা গেছে, শিশুদের মা-বাবার সঙ্গে রাখা হবে। তবে তাদের আটকে রাখা হবে। অভিবাসন মামলা চলাকালীন তাদের আটকে রাখা হবে। সমালোচকরা বলছেন, আলাদা হওয়া ২ হাজার ৩৪২ শিশুর ক্ষেত্রে ট্রাম্পের বর্তমান নির্দেশনা কার্যকর হবে কিনা সেই বিষয়টি উল্লেখ নেই। গত ৫ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত এদের আটক করে আলাদা রাখা হয়। গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার তিনজন বিচারপতি শিশুদের একত্র রাখার নির্দেশ দেন।
বিক্ষোভকারীদের গতকালের স্লোগান ছিল, ‘পরিবারের সদস্যরা একত্র হওয়ার অধিকার রাখে’। তারা সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পর্কে বলেন, এই রায় যথেষ্ট নয়। সুপ্রিম কোর্টের উচিত রায় পরিবর্তন করা। তারা অভিবাসীদের আটককেন্দ্র বন্ধ করার দাবি জানান। তারা বলেন, আমরা এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিতে চাই। আয়োজকরা সবাইকে সাদা পোশাকে আসতে এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের নির্দেশনা দেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বেশিরভাগই ছিলেন নারী। এর আগে শুক্রবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট ভবন তথা ক্যাপিটল ভবনে অবস্থান নেন নারীরা। সেখান থেকে প্রায় ৬শ’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওয়াশিংটনে বিক্ষোভের মূল ব্যক্তি আনা গেলান্ড টুইটার বার্তায় বলেন, ওয়াশিংটন ডিসি, নিউ ইয়র্ক, মিনেপোলিস, নাশভেলি, অস্টিন, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলসসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
দেশজুড়ে বিক্ষোভের আয়োজন করে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন, দ্য লিডারশিপ কনফারেন্স অন সিভিল রাইটস এবং দ্য ন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্স। বিক্ষোভ সমর্থন জানিয়েছে রাজনীতিকরা ছাড়াও হলিউডের জুলিয়ানা মুর, অ্যামেরিকা ফেরেরা এবং লিন ম্যানুয়েল মিরেন্দাসহ অনেকে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button