এ বি এন এ : প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালানোর প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যেসব অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তাদেরকে এ অভিযান চালানো হবে। শনিবার তিনি আইওয়ার ডেস মোইনেস-এ নির্বাচনী প্রচারণায় এমন মন্তব্য করেন। এতে বলা হয়, তার এ মন্তব্যে রক্ষণশীলদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার র্যালিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প তুলে ধরেন এনবিএ তারকা ডয়নে ওয়েডের এক কাজিনকে গুলি করে হত্যার প্রসঙ্গ। তিনি এ হত্যাকা-কে সহিংসতার একটি উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেন। একই সঙ্গে তিনি আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মার্কিন ভোটারদে তার সমর্থনে র্যালি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই যে সহিংসতা এ বিষয়টিকে চিহ্নিত করে এগুতে হবে। আইওয়া স্টেট ফেয়ারগ্রাউন্ডসে তিনি শনিবার ওই ভাষণ দেন। এ সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, অভিবাসন নীতি শিথিল করবেন তিনি। এর আগে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে তাড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। সেই অবস্থান তিনি শিথিল করবেন। এরপরই আইওয়ার ওই অনুষ্ঠানে তিনি পরিষ্কার করলেন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থাকে কিভাবে পরিচালিত করবেন তিনি। উল্লেখ্য, রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ের সময় তিনি বিভিন্ন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করবেন। তখন তিনি বেশ সমর্থন পেয়েছিলেন। এখন নতুন করে অবস্থান বদল করায় তার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করছেন রক্ষণশীলরা। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অবৈধ অভিবাসী সমস্যা মোকাবিলার জচন্য একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন। তার মাধ্যমে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণদের তাড়িয়ে দেয়া হবে। থাকবে ই-ভেরিফাই ব্যবস্থা। এর ফলে অবৈধ অভিবাসীরা কল্যাণমুলক কোন সুবিধা নিতে পারবে না। তিনি বলেন, যদি আমরা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি মোকাবিলা করতে না পারি তাহলে তা হবে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয়ার মতো। এসব অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়া হলে মার্কিনিদের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।