এবিএনএ: অবশেষে কারওয়ান বাজারের হাতিরঝিল থেকে উত্তরায় সরছে বহুল আলোচিত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের বিজিএমইএ ভবন, যেটিকে ‘সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ক্যান্সার’ বলে অভিহিত করেছে হাইকোর্ট। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে ১১০ কাঠা জমিতে নির্মালাধীন নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ১৫ এপ্রিল থেকে নতুন কার্যালয়ে অফিস করবেন বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বিজিএমইএ তাদের প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য সোনারগাঁও হোটেলের পাশে জায়গাটি নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কাছ থেকে ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকায় জমিটি কেনে। তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই বছরই বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আর ২০০৬ সালের অক্টোবরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিজিএমইএ ভবন উদ্বোধন করেন। তবে জমির স্বত্ব না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করায় হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বিজিএমইএ ভবনটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভেঙে ফেলতে হবে। আর ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি ছেড়ে দিতে হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, নতুন ভবনের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তবে নতুন ভবনটি পুরোপুরি তৈরি না হলেও আদালতের কাছে মুচলেকা দেয়ায় এখন হাতিরঝিল ছাড়ার কোনো বিকল্প নেই। ভবনটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। তবে পুরাতন হাতিরঝিলের ভবনটি বা এর সরঞ্জামের কি হবে সেটি জানাননি বিজিএমইএ সভাপতি। উল্লেখ্য, তৈরী পোষাক শিল্পে সরাসরি কর্মসংস্থান হয়েছে ৪০ লক্ষাধিক শ্রমিকের। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এ খাতে রপ্তানী হয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার। সামগ্রিক রপ্তানীতে তৈরি পোষাকের একক অবদান ৮৩ শতাংশ।