জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

অক্টোবরে এপিআই শিল্পপার্কে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে : শিল্পমন্ত্রী

এ বি এন এ : আগামী অক্টোবরের মধ্যেই মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ওষুধ শিল্পনগরী এ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্পপার্কে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।  তিনি বলেন, ‘এপিআই শিল্পপার্কের ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যেই প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। প্লট বরাদ্দের পরপরই শিল্প নগরিতে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনের কারখানা স্থাপন শুরু হবে।’ এপিআই শিল্পপার্কে উৎপাদন শুরু হলে ওষুধ শিল্পের কাঁচামালখাতে আমদানি খরচ ৭০ শতাংশ কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) আওতায় বাস্তবায়নাধীন ওষুধ শিল্পনগরী প্রকল্পের (এপিআই শিল্প পার্ক) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির প্রতিনিধিদলের সাথে এ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া,বিসিকের চেয়ারম্যান মুস্তাক হাসান মোহাম্মদ ইফতেখার,বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ওষুধ শিল্পনগরীর কার্যক্রম দ্রুত চালুর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।এ সময় শিল্পনগরীতে ৪২টি শিল্প ইউনিটের অনুকূলে প্লট বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।একইসাথে শিল্প উদ্যোক্তাদের নিজস্ব অর্থায়নে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। শিল্পমন্ত্রী বলেন,ওষুধ শিল্প বাংলাদেশে একটি উদীয়মান শিল্পখাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৩৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে।স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পেটেন্টেড ওষুধ উৎপাদনের জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ছাড় পেয়েছে।এ সুযোগ কাজে লাগাতে তিনি দ্রুত এপিআই শিল্পপার্কে কারখানা স্থাপনে এগিয়ে আসতে উদ্যোক্তাদের আহবান জানান। এপিআই শিল্পপার্ক চালু হলে ওষুধ শিল্পখাতে আমদানি ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি রফতানি আয় বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বৈঠকে ওষুধ শিল্প উদ্যোক্তারা বরাদ্দ প্রাপ্ত প্লটের বিপরীতে মূল্য পরিশোধের সময়সীমা বৃদ্ধি এবং সার্ভিস চার্জ কমানোর জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।  এর জবাবে শিল্পমন্ত্রী বরাদ্দকৃত প্লটের মূল্য পরিশোধের সময়সীমা ৫ বছরের পরিবর্তে ১০ বছর এবং বিসিক নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ শতকরা ২০ ভাগ থেকে কমিয়ে শতকরা সাড়ে ১২ ভাগ নির্ধারণের ঘোষণা দেন। প্লটের মূল্য পরিশোধের সময়সীমা ৫ বছরের পরিবর্তে ১০ বছরে নির্ধারণ করায় ঔষধ শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউদ্দিন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন,এপিআই শিল্পপার্কে উৎপাদন শুরু হলে ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের দেশীয় চাহিদার শতকরা ৭০ ভাগ যোগান দেয়া সম্ভব হবে।  উল্লেখ্য,এপিআই শিল্পপার্কে ওষুধের প্রস্তুতির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল উৎপাদন করা হবে।বর্তমানে এই কাঁচামালের ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে।এ উৎপাদন থেকে অভ্যন্তরীণ চাহিদার শতকরা ৯৭ ভাগ মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে।

Share this content:

Related Articles

Back to top button