
এবিএনএ: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অন্তর্ভূক্তির ক্ষেত্রে পাবলিক ইনভেস্টমেন্টের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বৃদ্ধির উপর তাগিদ দেন তিনি। এক্ষেত্রে মেগা প্রকল্পগুলো পাবলিক ইনভেস্টমেন্টের আওতায় বাস্তবায়ন হতে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বুধবার দিল্লীতে আইএমএফ- সাউথ এশিয়া রিজিওনাল ট্রেনিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্স সেন্টার (আইএমএফ-এসএআরটিটিএসি) আয়োজিত ‘রিপিং দ্যা ডিভিডেন্ডস অব পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেশনে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ‘স্বাস্থ্য, শিক্ষা, টেলিকমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন খাতে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানো যায়। আর এটা অবশ্যই জনগণের কল্যাণের উদ্দেশ্যে করা হয়। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণ ও জনসেবা নিশ্চিত করতে দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের ক্ষেত্রে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘ইতিবাচক ফলাফল পেতে দক্ষতার সঙ্গে পাবলিক ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা জরুরী। স্থিতিশীলতা প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা। আর এটা নির্ভর করে সুচারুভাবে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজ করার উপর।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ও সংসদকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পাবলিক ইনভেস্টমেণ্টের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।’ প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যথায় প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাবে।’ এক্ষেত্রে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট নিরাপদ করতে আইএমএফ-এর মডেল অনুসরণ করার আহ্বান জানান তিনি।
স্পিকার বলেন, আইএমএফ- এর ২০১৬ সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশ দ্বিতীয় দ্রুততম বর্ধনশীল দেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১ শতাংশ। রপ্তানী, রেমিট্যান্স, কৃষি খাতই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির মূল। ঔষধ ও চামড়া শিল্প, তৈরী পোশাক শিল্প, পাট শিল্প, জাহাজ শিল্প এবং তথ্য-প্রযুক্তি ইত্যাদি খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী ক্ষমতায়নসহ উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০২৪ সালে পুরোপুরি উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।’
সার্টটেক এর পরিচালক সুখেন্দার সিং এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে নিযু্ক্ত আইএমএফ- এর আবাসিক প্রতিনিধি ওয়াগনার গুডমুন্ডসন।
অনুষ্ঠানে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: আব্দুস শহীদ এমপি, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: রুস্তম আলী ফরাজী এমপি, সাগুফতা ইয়াছমিন এমপি, আনোয়ারুল আবেদীন খান এমপি এবং আহসানুল ইসলাম (টিটু) এমপি অংশগ্রহণ করেন।
Share this content: