
এবিএনএ : স্পিকার ও সিপিএ’র চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এর ফলে আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এখন দৃশ্যমান।
ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের সদস্য আর্নে লিৎজের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাতকালে তাঁরা বাংলাদেশের সংসদীয় কার্যক্রম, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা ও বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্প প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্প। এ খাতে নিয়োজিত শ্রমিকের অধিকাংশই নারী। নারী শ্রমিকের শিশুদের সুন্দর শৈশব নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে সরকার ডে কেয়ার সেন্টার এবং ডরমিটরি তৈরি, মাতৃত্বকালীন ছুটি, ল্যাকটেটিং মাদার ভাতাসহ বহুবিধ সুবিধা নিশ্চিত করেছে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং ৫০ জন সংরক্ষিত আসনে মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, সংসদ উপনেতা, স্পিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। সংসদীয় কার্যক্রমকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহি করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং মন্ত্রীর পরিবর্তে একজন সংসদ সদস্যকে কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে।
স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকার দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়াও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক গঠন করেছে, যা নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে।
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময়ে তাঁরা তৈরি পোষাক শিল্পকে বাংলাদেশে উদীয়মান একটি সেক্টর হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা ইইউ ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ভবিষতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
Share this content: