,
প্রচ্ছদ | জাতীয় | আন্তর্জাতিক | অর্থনীতি | আমেরিকা | লাইফ স্টাইল | ভিডিও নিউজ | ফিচার | আমেরিকা | বিনোদন | রাজনীতি | খেলাধুলা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | শিক্ষা

স্বাক্ষরতার হার ৭৬ ভাগ, এটা বড় অর্জন: প্রধানমন্ত্রী

এবিএনএ: শিক্ষা খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়ার কারণে গত ১৫ বছরে স্বাক্ষরতার হার ত্রিশভাগের বেশি বৃদ্ধিকে সরকারের বড় অর্জন হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১২ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ এবং পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পরে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬ সালে যখন সরকারে আসি তখন স্বাক্ষরতার পেয়েছিলাম মাত্র ৪৫ শতাংশ। আমরা উদ্যোগ নেই এবং নিরক্ষরতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব, এ প্রকল্প নিয়ে প্রতিটি জেলাভিত্তিক স্বাক্ষরতার হার বাড়ানো এমনকি বয়স্ক শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা করেছিলাম। ফলে আমাদের স্বাক্ষরতার হার ৬৫.৫ ভাগে উন্নত করতে সক্ষম হয়েছি। দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের এই প্রকল্পটা বিএনপির যখন ২০০৮ ক্ষমতা এলো এটা বন্ধ করে দিলো।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দিচ্ছি। প্রতিটি জেলা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার ২২ ভাগে উন্নীত হয়েছে। এটা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ ভাগ ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৪১ ভাগ করার পরিকল্পনা আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যাতে খেলতে খেলতে শিখতে পারে, সে উদ্যোগ নিতে হবে।

সন্তানদের মেধা বিকাশের সুযোগ দিতে পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, ছেলে-মেয়েদের পরপর বেশি বললে পরে তাদের ওই পড়ার আগ্রহটা হারিয়ে যায়। পরিবেশটা তৈরি করে যদি তাদের সঙ্গে নিয়ে বসা যায় তাহলে তাদের পড়ার আগ্রহটা এমনিতেই তৈরি হয়। আর আজকের ডিজিটাল যুগের ছেলে-মেয়ে, তাদের এমনিতেই মেধা বেশি। কাজেই সেই মেধা বিকাশের সুযোগটা দিতে হবে।’

পরীক্ষায় যারা কৃতকার্য হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও অভিনন্দন জানান তিনি। আর যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের মন খারাপ না করে আগামীতে আরও ভালো করার তাগিদ দেন সরকারপ্রধান।

মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান বলেন, মেয়েরা একটা সময় স্কুলে যেতেই পারত না। এখন কিন্তু সেটা নেই। ৯৮ ভাগ মেয়ে স্কুলে যায়। মেয়েদের শিক্ষার পরিবেশ আমরাই করে দিয়েছি।

মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী সংখ্যা ও পাসের হারে ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে কেন-এর কারণ খোঁজার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ২০ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৫০ জন পরীক্ষার্থী। ছাত্রসংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪ জন, আর ছাত্রী সংখ্যা ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮৬ জন। কেন ছাত্ররা কম? সে কারণটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, কি কারণে ছাত্ররা কমে যাচ্ছে? পাসের হারেও দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরাই অগ্রগামী।

তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, এটা আমরা জানি। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কখনো উন্নতি করা যায় না। সেজন্য আমাদের সরকার সবসময় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। শিক্ষাতে আমরা যে ব্যয় করি, এটাকে আমরা ব্যয় বলি না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলে গেছেন এটা বিনিয়োগ। শিক্ষাতে আমরা বিনিয়োগ করি।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali
Managing Director: Akbar Hossain
Executive Editor: Mehedi Hasan
E-mail : abnanewsusa@gmail.com
Usa Office: 289 West Koach Avenue, Egg harbor City, New Jersey-08215, Bangladesh Office : 60/1. Purana Paltan (2nd Floor), Dhaka-1000, Usa. Phone: +16094649559, Cell:+8801711040113, +8801912-621573
Server mannarged BY PopularServer
Design & Developed BY PopularITLimited