এ বি এন এ : হজ শুরু হবার আগেই সৌদি আরবে গিয়ে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে ৩৩ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ১৭ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ বুলেটিনে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়। যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। এর মধ্যে মক্কায় ২৪ জন মারা গেছেন , মদিনায় ৮ জন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন। বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট ৪ অগাস্ট সৌদি আরবে পৌঁছায়। এরপর ৭ অগাস্ট সেখানে প্রথম বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন—কুমিল্লার ছায়েদুর রহমান (৭৭), লক্ষ্মীপুরের মোহাম্মদ উল্লাহ পাটোয়ারী (৬৪), হবিগঞ্জের মো. আমিন আলী (৭০), কুষ্টিয়ার তাহেরা খানম (৬০), মোছা. সুফিয়া খাতুন (৬২) ও মো. মকবুল হোসেন (৬৭), সিলেটের আকরিজ উল্লাহ (৭৫), ফরিদপুরের মো. আইনুদ্দিন মোল্লা (৭৯), ফেনীর ওবায়দুল হক (৭৮), নোয়াখালীর রেজাউল হক (৫৩) ও ইসমাইল (৬২), মুন্সিগঞ্জের আবু বকর সিদ্দিক (৫৯) ও এসএম মোফাজ্জল হোসেন (৬৬), গাজীপুরের আলী আহমেদ সিকদার (৬৬) ও জামিলা আক্তার (৭৯), টাঙ্গাইলের রমিজা বেগম (৫৭), বরিশালের মো. আলাউদ্দিন ফকির (৭৪), নরসিংদীর মো. নুরচাঁদ মিয়া (৫৬), চাঁদপুরের নাসির আহমেদ (৬৪) ও মো. হাবিব উল্লাহ (৮৪), শেরপুরের মো. জমির উদ্দিন (৭৪) ও রাশেদা বেগম (৪৮), রংপুরের মো. ইসমাইল হোসেন (৭১), কুমিল্লার মো. আবু তাহের (৮৭), নওগাঁর সিরাজুর মুনিরা লাভলী (৫১), নেত্রকোণার মো. ওয়াকিল উদ্দিন (৬৭), বগুড়ার মোছা. মরিয়ম বেগম (৫১) ও হেলাল উদ্দিন আহমেদ (৬৪), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জোহরা খাতুন (৬১) ও আবুল হাসেম (৭৯), জয়পুরহাটের হাবিবা ফেরদৌসী রিক্তা (৪১), পাবনার মো. নুরুজ্জামান কাশেমী (৫৯) এবং চট্টগ্রামের মো. রেহান উদ্দিন (৭৩)। জানা যায়, সৌদি আরবের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৯৯টি ফ্লাইটে ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ বাংলাদেশের ১ লাখ ১ হাজার ৮২৯ হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার পাঁচ হাজার ১৮৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৯৫ হাজার ৬১৪ জন রয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসলমানদের সঙ্গে ১১ সেপ্টেম্বর হজ করবেন তারা। সৌদি সরকারের নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজের সুযোগ পাচ্ছেন। হজ শেষে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন বাংলাদেশিরা।