আমেরিকালিড নিউজ

এবার ২৫ প্রতিষ্ঠান-ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খড়গ

এবিএনএ: বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতো নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে। সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সর্বশেষ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) চীনের ২৫ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বেদনানাশক বা চেতনানাশক ওষুধ ফেনটানাইল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ওষুধের যে সংকট চলছে তাতে ফেনটানাইলের অতি ব্যবহারকে দুষছেন কর্তৃপক্ষ।

অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেছেন, ফেনটানাইলের সরবরাহ চেইন সাধারণত শুরু হয় চীনের রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। তবে এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাস কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এর আগে এপ্রিলে এ প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, চীন ও মেক্সিকের মধ্যে কোনো ফেনটানাইল পাচার হচ্ছে না। অবৈধভাবে ফেনটানাইল সরবরাহ বন্ধে চীন সরকারের কাছে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেঁ ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর আহ্বান জানানোর পর এমন মন্তব্য করে বেইজিং।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যবহারকারীদের কাছে ফেনটানাইল সরবরাহের জন্য মেক্সিকোর ড্রাগ গ্যাংকে দায়ী করেছে ওয়াশিংটন। চিকিৎসকরা এই ওষুধ রোগীদের খাওয়ার অনুমতি দিতে পারেন। কিন্তু কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এটা দিয়ে তৈরি ব্যাথানাশক ওপিয়ডের ব্যবহার ও চাহিদা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। ফলে এর উৎপাদন ও সরবরাহ  অবৈধ উপায়ে বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। এর ব্যবহারও হচ্ছে মাত্রাতিরিক্তভাবে।

২০২২ সালে কোনো না কোনো সময় এই ওষুধ ব্যবহার করেছেন এমন এক লাখ ৯ হাজার ৬৮০ জনের মৃত্যু হয়। ফলে ফেনটানাইল উৎপাদন এবং সরবরাহ ও পাচারের সঙ্গে যুক্ত চীনভিত্তিক নেটওয়ার্ক এবং অন্য অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর নিকারাগুয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

Share this content:

Back to top button