এবিএনএ : শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সিলেট ও রংপুর বিভাগের ১০ জন আত্মপ্রত্যয়ী ও সংগ্রামী নারী। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বুধবার ঢাকায় শিশু একাডেমির সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে সিলেট ও রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী শিশু একাডেমিতে উপস্থিত স্বর্ণলতা রায়ের হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন। এ সময় তিনি সিলেট বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘তোমরাই বাতিঘর’ সফল নারীদের সম্মাননা স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সব বিভাগ ও জেলায় নারীদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টারসহ বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। জয়িতাদের দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীবান্ধব বিপণি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও ই-কমার্সের যে জয়জয়কার, তার পেছনে রয়েছে জয়িতা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। যার ফলে নারীরা আর্থিক সচ্ছলতা ও স্বাবলম্বিতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছেন। রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন এবং রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য উপস্থিত ছিলেন।রংপুর বিভাগের সম্মাননাপ্রাপ্ত পাঁচ জয়িতা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মোছা. সূর্য্য বেগম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নীলফামারীর সৈয়দপুরের হাফিজা খাতুন, সফল জননী ক্যাটাগরিতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মাহমুদা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর সেবিকা রানী এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় পঞ্চগড় সদরের রোকেয়া বেগম। প্রতিমন্ত্রী শিশু একাডেমিতে উপস্থিত শ্রেষ্ঠ জয়িতা সূর্য্য বেগমের হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন।