জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

নতুন মুখের পাশাপাশি চার মন্ত্রীর দপ্তর বদল

এবিএনএ : মন্ত্রিসভায় নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেয়া তিন জন এবং পদোন্নতি পাওয়া একজনের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চারজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর পাল্টে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার শপথ নেয়া তিন পূর্ণ মন্ত্রীর মধ্যে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ তার পুরনো মন্ত্রণালয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদেই থাকছেন। তিনি এতদিন এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। আর এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছায়েদুল হক গত ১৬ ডিসেম্বর মারা যাওয়ার পর থেকে পদটি খালি ছিল।

টেকনোক্র্যাট কোটায় শপথ নেয়ার আগে থেকেই মোস্তফা জব্বারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছিল। হয়েছেও তা। তাকেই দেয়া হয়েছে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

মঙ্গলবার শপথ নেয়া আরেক মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালের দায়িত্বটা চমক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তিনি পেয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়া কাজী কেরামত আলী ওই রাতেই শিক্ষার দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। হয়েছেও তা। তাকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।

বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম গণমাধ্যম কর্মীদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

যাদের দপ্তর পাল্টেছে

নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব দেয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাল্টেছে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এখন থেকে সামলাবেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহসিন আলীর ‍মৃত্যুর পর থেকে পদটি ফাঁকা ছিল।

গত সোয়া দুই বছর ধরে নুরুজ্জামান আহমেদ এই মন্ত্রণালয় সামলাতেন এতদিন। তাকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

দপ্তর বদল হয়েছে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর। জাতীয় পার্টির নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এখন থেকে সামলাবেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। আর আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সামলাবেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমেরও দায়িত্ব বদল হয়েছে। তাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ে এতদিন কোনো প্রতিমন্ত্রী ছিলেন না। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু গত চার বছর ধরে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন সচিব শফিউল আলম।

আরও তিন দফা মন্ত্রিসভায় রদবদল

২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত সরকারে নতুন মুখ বা দপ্তর পরিবর্তন হলো চার দফা। এর আগে আরও তিন দফা রদবদল হয়।

২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এইচ মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নজরুল ইসলামকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

প্রায় দেড় বছর পর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রিসভায় যোগ হয় নতুন পাঁচ মুখ। প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী হন একজন।

সেদিন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তিনি তার আগের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েই দায়িত্ব পালন করছেন।

একই দিন মন্ত্রী হিসেবে আরও শপথ নেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তারানা হালিম (ডাক ও টেলিযোগাযোগ) এবং নুরুজ্জামান আহমেদ (খাদ্য)।

এরপর মন্ত্রিসভায় আরও একটি রদবদল হয়। সেটি চমকের তৈরি করে দেশজুড়ে। ২০১৫ সালের ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে সৈয়দ আশরাফকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। একই দিন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বদলে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। এক সপ্তাহ পর সৈয়দ আশরাফ পান তার নতুন মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসন।

Share this content:

Related Articles

Back to top button