সখিপুরের ইউএনও-ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

এবিএনএ : তথ্যপ্রযুক্তি আইনে টাঙ্গাইলের সখিপুরের স্কুলছাত্র সাব্বির সিকদারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দেয়া সাজার রায় অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই স্কুলছাত্রকে মুক্তির নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই আদেশ দেন।
টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহানকে নিয়ে স্কুলছাত্র সাব্বিরের একটি মন্তব্যের জেরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে দুই বছরের সাজা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনকারী সখিপুর ইউএনও।
গত ২০ সেপ্টেম্বর একটি ইংরেজি দৈনিকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনের কপি আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের নজরে আনেন। এরপর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সখিপুরের ইউএনও ও ওসির কাছে ব্যাখ্যা চান। একইসঙ্গে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষার্থীকে আদালত জামিনে মুক্তির নির্দেশও দেন।
সে অনুযায়ী গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইউএনও-ওসি দণ্ডের বিষয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দেন। ব্যাখ্যা শুনে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল।
ঘোষিত রায়ে পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি ওই ইউএনও এবং ওসিকে পরবর্তীতে ঢাকা বিভাগের বাইরে বদলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যে প্রতিবেদনের জেরে এ রায় এলো ১৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, টাঙ্গাইলের সখিপুরে প্রতীমা পাবলিক হাই স্কুলের শিক্ষার্থী সাব্বির শিকদারকে গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ইউএনও রফিকুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। সাব্বির প্রতিমাবঙ্কি গ্রামের শাহিনুর আলমের ছেলে।
এর আগের দিন টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনের এমপি অনুপম শাজাহান জয় ওই বালকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন। দণ্ড প্রদানের পর সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সাব্বির শিকদারকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে জিডির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, সাব্বির সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহানকে মেসেঞ্জারে হুমকি দিয়েছে যে, ‘আপনার সময় ফুরিয়ে আসছে’। আর ম্যাজিস্ট্রেট সূত্রে উল্লেখ করা হয়, তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আইনের কোন ধারায় দণ্ড দেওয়া হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি।
Share this content: