এবিএনএ : রিজার্ভ চুরির অর্থ উদ্ধারে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকো সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপিনাসের (বিএসএফ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সেখানে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি। এ ছাড়াও বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে যাবে।
রবিবারের মধ্যে তারা সেখানে পৌঁছাবেন বলে ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব) জন গোমস এই তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার ফিলিপাইনভিত্তিক সংবাদপত্র বিজনেস ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ম্যানিলায় জন গোমস বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা আসছেন। ফেরত পাওয়া অর্থ কীভাবে দেশে নেওয়া যায় সে বিষয়ে ওই কর্মকর্তা এএমএলসির জুলিয়ার সাথে সমন্বয় করবেন। এ ছাড়া রিজার্ভের অর্থ কীভাবে ফিলিপাইনে প্রবেশ করল এবং কে কে এর সঙ্গে যুক্ত সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রমাণ বের করতে চেষ্টা করবে সিআইডি। আগামী ৫ এপ্রিল ফিলিপাইনের সিনেটের চতুর্থ শুনানিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন বলে জানান গোমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কিম অং আইনজীবীর মাধ্যমে ফিলিপাইনের অর্থপাচার দমন কাউন্সিল (এএমএলসি) ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধির কাছে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ফেরত দেওয়ার পর এই তথ্য জানা গেল। কিমের আইনজীবী ১০০ ডলারের নোট ভর্তি একটি ব্রিফকেস নিয়ে ম্যানিলায় বিএসএফের কার্যালয়ে আসেন। তার কাছ থেকে ব্রিফকেসটি গ্রহণ করেন গোমস ও এএমএলসির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া বাচায়-আবাদ। গত মঙ্গলবার ফিলিপাইনের সিনেটের শুনানি চলাকালে অর্থ ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন কিম অং। সেই অঙ্গীকার অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তিনি অর্থ ফেরত দেন। ফিলিপাইনের অর্থ বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠান ফিলরেম সার্ভিস করপোরেশনের মাধ্যমে সোলেয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনোর জুয়াড়িদের জন্য কিম অং অর্থ পাঠিয়েছিলেন বলে শুনানিতে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ যথাযথভাবে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানান এএমএলসির জুলিয়া। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেই অর্থ ফেরত পাঠানো হবে।