এবিএনএ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করার পর বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দরে। ট্রাম্পের নির্দেশের পর বিভিন্ন বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে ওই সাত দেশের পাসপোর্টধারীদের। আর বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে তাদের আত্মীয় স্বজনকে।
অনেক মার্কিনিও ওই বিক্ষোভে অংশ নেন। জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে মায়ের সাথে বিক্ষোভে অংশ নিতে আসে ১১ বছর বয়সী জোনা বাউম। সে বলে, ‘যা করা হচ্ছে, সেটি একদমই ঠিক হচ্ছে না, অনৈতিক! আমার মনে হলো কিছু করা উচিৎ।’
জোনা বাউমের দাদা জার্মানি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়েছেন। জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে বিক্ষোভের সময় ১২ জনকে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয় বেশকিছু সেলিব্রেটিসহ প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারীকে। অ্যান্ড্রু কিউমো নামে এক ডেমোক্রেট সদস্য বলেন, মানুষের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের কন্ঠ জোরাল থাকুক।
নিউজার্সির নেয়ার্ক লিবার্টি বিমানবন্দরে ১২০ জনের বেশি ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে সই করেন। তারা এ ব্যাপারে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতেও অভিযোগ জানিয়েছেন।
অভিবাসীদের সমর্থনে ডেনভার বিমানবন্দরে অনেক মানুষ জড়ো হন। তারা বিমানবন্দরের প্রধান টার্মিনালের সামনে দাঁড়িয়ে গান গাইতে থাকেন। গানের মাধ্যমে তারা অভিবাসীদের স্বাগত জানান । ইহুদি ও খ্রিষ্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের লোকজন ওই সমাবেশে যোগ দেন।
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে অসন্তোষ জানাতে লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে জড়ো হন তিন শতাধিক মানুষ। তারা টম ব্র্যাডলি আন্তর্জাতিক টার্মিনালে প্রবেশ করেন এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে অভিবাসীদের প্রতি সংহতি জানান।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের প্রতিবাদ জানাতে শ’খানেকের বেশি বিক্ষোভকারী জড়ো হন সানফ্রান্সিসকো বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক টার্মিনালের সামনের রাস্তায়। এছাড়া পোর্টল্যান্ড ও সানডিয়েগোতে সাধারণ মানুষ জড়ো হয়ে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রতিবাদ জানান।