
এবিএনএ: মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েসের ১২৮ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৪৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের রানআউটে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১৯ বছর আগের রেকর্ড ভাঙেন এই দুইজন। ১৯৯৯ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে ১২৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন আল শাহরিয়ার রোকন ও খালেদ মাসুদ পাইলট। মাহমুদুল্লাহ ও ইমরুলের ব্যাটে ভর করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ‘সুপার ফোর’ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। পঞ্চাশ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে আড়াইশ’ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় টাইগাররা। ৪৭তম ওভারে ব্যক্তিগত ৭৪ রানে আউট হন মাহমুদুল্লাহ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহর এটি ২০তম ওয়ানডে ফিফটি। ১৫তম ওয়ানডে ফিফটি হাঁকানো ইমরুল ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রথম পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৪/২। এশিয়া কাপে এ নিয়ে টানা তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে শান্ত উইকেট খোয়ান ব্যক্তিগত ৬ রানে। শান্তর বিদায়ে ৫ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬/১। আগের দুই ম্যাচেই শান্তর সংগ্রহ ছিল ৭ রান। ওয়ানডাউনে প্রমোশন নিয়ে ব্যর্থ মোহাম্মদ মিঠুনও। দলীয় ২ রান যোগ হতেই আউট হন তিনি। আফগান পেসার আফতাব আলমের ডেলিভারিতে তুলে মারতে গিয়ে রহমত শাহর হাতে ক্যাচ দেন শান্ত। আর ব্যক্তিগত ১ রানে আফগান লেগস্পিনার মুজিব জাদরানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে জড়ান মিঠুন। এতে ৫.৩তম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮/২-এ। এবারের এশিয়া কাপের চার ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির সংগ্রহ যথাক্রমে ১, ১৫, ১৫ ও ১৬ রান। দলীয় ১৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৬৩ রান। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা লিটন বড় ইনিংস খেলার সুযোগ নষ্ট করেন। লেগস্পিনার রশিদ খানের প্রথম ওভারে বাজে শট খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪১ রানে আউট হন তিনি। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে চার মারার পরের বলেই ক্রস খেলতে যান লিটন। ব্যাটে-বলে ঠিকমতো সংযোগ না হওয়ায় বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন স্লিপে দাঁড়ানো ইহসানউল্লাহ জনাথ। আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র ১৩ রান করেন লিটন। এক বলের বিরতিতে মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট সাকিব আল হাসান। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে সাকিব স্ট্রাইকে ফেরার আগেই সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন সামিওল্লাহ শেনওয়ারি। রশিদের পরের ওভারেই ইমরুল কায়েসের ভুল কলের শিকার হন মুশফিক (৩৩)। ননস্ট্রাইকিং প্রান্তে ফেরার আগেই মোহাম্মদ নবীর থ্রো থেকে মুশফিককে ফেরান বোলার রশিদ নিজেই। হাত দিয়ে স্টাম্প ভাঙলেও ওই হাতে বল থাকায় থার্ড আম্পায়ার রানআউটের সিগন্যাল দেন। দলের দুই ব্যাটিং স্তম্ভের রানআউটে হঠাৎই বাংলাদেশের ছন্দপতন। ৬ রানের মধ্যে তিন উইকেটের পতন ঘটে। দলীয় সংগ্রহ ৮১/২ থেকে হয়ে যায় ৮৭/৫।
Share this content: