আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

এবার স্টেডিয়ামে যাবেন সৌদি নারীরা

এবিএনএ : প্রথমবারের মতো গাড়ি চালানোর অনুমতির পর এবার খেলা দেখতে নারীদের স্টেডিয়ামে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব।
সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে, সৌদি আরব খেলাধূলা দেখতে নারীদের স্টেডিয়ামে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে- যা কার্যকর হবে আগামী বছর থেকে। তবে সব স্টেডিয়ামে নয়, প্রধান তিন সৌদি শহর রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মামের স্টেডিয়ামেই শুধু যেতে পারবে নারীরা।
দেশটিতে নারীরা লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হচ্ছে। প্রথমবারের মতো নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতিসংক্রান্ত আদেশ জারির পর স্টেডিয়ামে যাওয়ার অনুমতি তাদের স্বাধীনতার পথকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিল।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবকে উদারপন্থি মুসলিম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছেন।
সৌদি আরবের ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ বলেছে, স্টেডিয়াম তিনটি প্রস্তুত করতে কাজ শুরু হবে। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে এগুলো হয়তো নারীদের উপযোগী করে তৈরি করা সম্ভব হবে।
স্টেডিয়ামের রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ও মনিটর স্ক্রিন নতুনভাবে করতে হবে। নারীদের বসার জন্য উপযোগী করে তুলতে হবে। কারণ এগুলো শুধু পুরুষদের জন্যই তৈরি ছিল।
রক্ষণশীল এই দেশে আধুনিকায়নে সংস্কারের দিকে নজর দিয়েছেন ৩২ বছর বয়সি সৌদি যুবরাজ। তেলনির্ভর অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে ও সামাজিক পরিবর্তনে সৌদি সরকার ‘সৌদি ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেছে।
গত মাসে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। যা কার্যকর হবে আগামী বছর জুন মাস থেকে। আবার অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন কনসার্ট এবং আশা করা হচ্ছে সিনেমাপ্রেমীদেরও হতাশ করা হবে না। অর্থাৎ নারীরা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে পারবেন।
গত বুধবার সৌদি যুবরাজ জানান, সৌদি আরবকে এগিয়ে নিতে তার দেশ মধ্যপন্থি ইসলামে ফিরে যাবে। তিনি বলেন, সৌদি জনগণের ৭০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে। উগ্রবাদী আদর্শ বুঝতে আমরা জীবন নষ্ট করতে পারি না। আমরা খুব শিগগিরই উগ্রপন্থার অবসান ঘটাব।
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, এসব পরিকল্পনা ঝুঁকির বাইরে নয়। অর্থাৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঝুঁকি রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে সৌদি যুবরাজকে।
এদিকে, গত মাসে সৌদির জাতীয় দিবস পালনে নারীদের অংশগ্রহণে অনুমতি দেওয়া হয়। রিয়াদের ফাহাদ স্টেডিয়ামে জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে নারীরা অংশ নেন। এতে রক্ষণশীলরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সমালোচনাও করেন।
সম্প্রতি নারীদের স্বাধীনতার বিষয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এখনো সেখানে নারীদের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। নারীদের ড্রেস কোড মেনে চলতে হয়। এমনকি সেখানে নারীরা যদি কোনো কাজে যোগ দিতে চায়, ভ্রমণে যেতে চায় অথবা চিকিৎসাসেবাও নিতে চায়, তাহলে পুরুষ অভিভাবকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হয়।

Share this content:

Back to top button