এবিএনএ : পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী শনিবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে আসেন শূন্য হওয়া চার আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থীরা। এ সময় ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী এস এম জাহাঙ্গীর ও কফিল উদ্দীনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ঢাকা-৫, ঢাকা-১৮, নওগাঁ-৬ ও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন বিক্রি করে বিএনপি। চার আসনে ২৯ জন আগ্রহী প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। তবে এই আসনগুলোর মধ্যে বেশি আলোচনায় ঢাকা-১৮। কারণ এখানে একাধিক প্রভাবশালী নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী। যদিও এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল এখনো ঘোষণা হয়নি।
ভার্চুয়ালি এই সাক্ষাৎকারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে এবং বিএনপির শীর্ষ নেতারা নিজ নিজ বাসা থেকে যুক্ত হন। আর প্রার্থীরা আসেন গুলশান কার্যালয়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অন্যান্য প্রার্থীদের মতো ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন ও কফিল উদ্দীন গুলশানে এলে তাদের সঙ্গে কয়েকশ নেতাকর্মী আসেন। তারা দুজন ভেতরে অবস্থান করার সময় তাদের সমকর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এর আগে উপনির্বাচনে যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীরকে মনোনয়ন না দিতে দলের হাইকমান্ডের কাছে লিখিত আবেদন জানান বিএনপি সমর্থিত আট কাউন্সিলর প্রার্থী। আবেদনকারীরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন।
তারা হলেন- ১নং ওয়ার্ডের মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ৫০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন, ৪৪নং ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার হোসেন আয়নাল, ৪৭নং ওয়ার্ডের মোতালেব হোসেন রতন, ৪৬নং ওয়ার্ডের আরিফুর রহমান আরিফ, ৪৩নং ওয়ার্ডের মো. আক্তার হোসেন, সংরক্ষিত ৫২, ৫৩ ও ৫৪ ওয়ার্ডের সোহেলী পারভীন শিখা এবং সংরক্ষিত ৪৯, ৫০ ও ৫১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী লুৎফা খানম চৌধুরী।
এদিকে সংঘর্ষের পর গুলশান কার্যালয়ের ভেতরেই প্রতিবাদ জানান কফিলউদ্দিন আহমেদ। এ সময় দোতলায় অন্য আসনের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার চলছিল। তবে এস এম জাহাঙ্গীর নিশ্চুপ ছিলেন। পরে একপর্যায়ে এস এম জাহাঙ্গীরও হট্টগোলের প্রতিবাদ জানান। কফিল উদ্দীন দাবি করেন, তার ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।