এ বি এন এ : ভার্জিন আইল্যান্ডে বিপুল ভোটের ব্যবধানে দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্সকে হারিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। পুয়ের্তো রিকোতেও তিনি বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হচ্ছেন। এমন আভাষ দিয়েছে সিএনএন, এএফপি সহ বেশির ভাগ মিডিয়া। ভার্জিন আইল্যান্ডে ভোট হয় ৪ঠা জুন। সেখানে বিজয়ী হন হিলারি। পুয়ের্তো রিকোতে ভোট হয় ৫ই জুন। সব মিলিয়ে হিলারি ক্লিনটন এখন ২৩৫৫ টি ডেলিগেট সংগ্রহ করতে পেরেছেন। দলের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ডেমোক্রেট দলের একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে ২৩৮৩টি ডেলিগেট পেতে হয়। এ সংখ্যা থেকে হিলারি এখন মাত্র ২৮টি ডেলিগেট পিছনে আছেন।
আর মাত্র ২৮টি ডেলিগেট পেলেই তিনি দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে পারবেন। তবে এ সংখ্যক ডেলিগেট পাওয়া এখন তার সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারণ, এখনও যে কটি রাজ্যে নির্বাচন বাকি আছে সেখানে রয়েছে ৮৫১টি ডেলিগেট। এতগুলো ডেলিগেট প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের ওপর ভিত্তি করে বন্টন করা হবে। ফলে হিলারি তার প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডেলিগেট অনায়াসেই অর্জন করতে পারবেন বলে রাজনৈতিক বোদ্ধারা মনে করছেন। ভার্জিন আইল্যান্ডে হিলারি ক্লিনটন পেয়েছেন ভোটের শতকরা ৮৪.২ ভাগ। ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স পেয়েছেন শতকরা ১২.২ ভাগ।
২০০৮ সালের পর এত বেশি ব্যবধানে কোন ডেমোক্রেট প্রার্থী এখানে বিজয়ী হন নি। ওই সময় বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পরাজিত করেছিলেন হিলারি ক্লিনটনকে। বারাক ওবামা পেয়েছিলেন শতকরা ৯০ ভাগ ও হিলারি পেয়েছিলেন শতকরা ৮ ভাগ ভোট। ওদিকে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী পুয়োর্তে রিকোতে হিলারি পেয়েছেন শতকরা ৬২.৫ ভাগ ভোট। বার্নি স্যান্ডার্স পেয়েছেন শতকরা ৩৭.১ ভাগ ভোট। পর পর দু’দিনের মধ্যে এটা হতে যাচ্ছে হিলারির ডাবল জয়। মঙ্গলবার নির্বাচন হবে নিউ জার্সি, ক্যালিফোর্নিয়া, মন্টানা, নিউ মেক্সিকোতে। এর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়াতেই রয়েছে ডেমোক্রেটদের ৫৪৬টি ডেলিগেট। নিউ জার্সিতে রয়েছে ১৪২টি ডেলিগেট। মন্টানায় রয়েছে ২৭টি ডেলিগেট। নিউ মেক্সিকোতে ৪৩টি ডেলিগেট। এর মধ্যে কোন একটি রাজ্যে বিজয়ী হলেই হিলারি তার টার্গেট পূরণ করতে পারবেন। তিনি যদি একটি রাজেও আর বিজয়ী হতে না পারেন তাহলেও তার টার্গেট পূরণ হয়ে যাবে। ফলে দৃশ্যত এটা ধরে নেয়া যায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের মনোনয়ন পাচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন। আর এর মধ্য দিয়ে তিনি নতুন ইতিহাস রচনা করবেন। তিনিই হবেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।