অর্থ বাণিজ্য

ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ছে

এ বি এন এ : বৃহত্তর অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ভারত সফররত শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে দু’দেশের সীমান্ত পর্যায়ে বাণিজ্য অবকাঠামো সৃষ্টি, অভিবাসন ও শুল্ক সুবিধা জোরদার, স্থলবন্দর আধুনিকায়নসহ অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণে বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার ভারতের আগরতলায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় নর্থ ইস্ট কানেকটিভিটি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের সহায়তায় ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রিজ এর আয়োজন করেছে।

ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রিজের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান রণজিৎ বারঠাকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী টিআর জেলিয়াং, ত্রিপুরা সরকারের শিক্ষা, শিল্প ও বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও আইনমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, মুখ্যসচিব গোপাল সিংসহ শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য দেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে দু’দেশের মধ্যে ভৌগলিক সংযোগ জোরদার এবং আন্তঃবাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।’ তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত রেল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্ব দেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। গত প্রায় এক দশক ধরে ৬ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকারের আর্থিক নীতি ও পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে দক্ষ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায় সৃষ্টি হয়েছে। এ উদ্যোক্তারা ভারতের সম্ভাবনাময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী।’ তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বাণিজ্য সহায়ক যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের এক হাজার ৭৪১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এখান থেকে ভারতের অন্য রাজ্যে পণ্য পরিবহন ও যোগাযোগ কষ্টসাধ্য। বাংলাদেশের অবস্থান এসব রাজ্য এবং অবশিষ্ট ভারতের মাঝখানে হওয়ায় তুলনামূলক বাণিজ্যিক সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা এ অঞ্চলে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী বলে তিনি জানান।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button