আমেরিকালিড নিউজ

নিউ ইয়র্কে প্রবাসী সিআইপি সমাবেশ

বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “মহামারীতেও প্রবাসীরা ২৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর ফলে গত অর্থবছর বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। মাতৃভূমিতে নিরাপদ বিনিয়োগের অন্যতম একটি অবলম্বন হচ্ছে ইনভেস্টমেন্ট বন্ড। এ খাতে ইতোপূর্বে প্রবাসীরা দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেন। কিন্তু গত অর্থবছরে সেই বন্ডের পরিমান সীমিত করা হয়েছে। একজন প্রবাসী সর্বোচ্চ এক কোটি টাকার বন্ড ক্রয় করতে পারবেন। এর ফলে অনেকেই হতাশ হয়েছেন।”

দেশে নিরাপদ-বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে মাহতাবুর আরও বলেন, “কষ্টার্জিত অর্থ নিরাপদ-বিনিয়োগের সুযোগ সীমিত করার পদক্ষেপের সমালোচনা আমরাও করেছি। বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি এক কোটি থেকে ৫ কোটি একটি ধাপ, ৫ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত আরেকটি ধাপ এবং ১০ কোটি টাকা থেকে যত বেশি সম্ভবকে আরেকটি ধাপে রাখার জন্য। কিন্তু সরকারের নীতি-নির্ধারকরা তা এখনও গ্রহণ করেননি। সরকার একদিকে বলছে বিনিয়োগ করতে, অপরদিকে নিরাপদ-বিনিয়োগের পরিমাণ সীমিত করা হয়েছে- এমন বৈপরীত্ব পরিহার করতে হবে।

“রেমিট্যান্সের বিপরীতে শতকরা ৫ টাকা হারে বোনাসের দাবি রয়েছে। সে স্থলে মাত্র শতকরা দুই টাকা দেওয়া হচ্ছে। ৫ টাকা করে দেওয়া হলে বৈধপথে রেমিট্যান্সের মাত্রা রাতারাতি দ্বিগুণ হবে-তা আশা করা যায় অনায়াসে।” অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আই-গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ, ফোবানার চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম বাবলা, জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এম আজিজ, গিয়াস আহমেদ, শাহনেওয়াজ, আহসান হাবিব, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, বেবী নাজনীন ও রানু নেওয়াজ।

Share this content:

Related Articles

Back to top button