
এবিএনএ : আইসিসির টুর্নামেন্টে ভারতের কাছে যেন পাকিস্তানের হারাটা অলিখিত নিয়ম! বিশ্বকাপে চির প্রতিদ্বন্দ্বীর ছয়বার মুখোমুখি হয়ে প্রতিটিতে হেরেছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাদের কখনো জেতা হয়নি ভারতের বিপক্ষে। শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মুখোমুখি পরিসংখ্যানে আছে সমতা—২-২। ১৮ জুন ওভালে ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল জিতে ইতিহাস বদলাতে চায় পাকিস্তান।
এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও পাকিস্তানকে ১২৪ রানে হারিয়ে শুরু হয়েছিল ভারতের অভিযান। ফাইনালেও কোহলিরা উঠেছেন ফেবারিটের তকমা নিয়েই। ফাইনালেও ভারতকে ফেবারিট মানলেও পাকিস্তানের বোলিং কোচ আজহার মাহমুদ বলছেন, এবার তাঁরা ইতিহাসটা বদলাতে চান, ‘আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমাদের চেয়ে তাদের ওপরে চাপ বেশি। র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের চেয়ে ওপরে থাকায় সবাই ভারতের কথা বলছে। তবে একটা কথা বলতে পারি, আমরা এখানে এসেছি জিততে। আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারত সব সময়ই ভালো করে (পাকিস্তানের বিপক্ষে)। তবে অনেক কিছু বদলে যেতে পারে। আইসিসির টুর্নামেন্টে (ভারতের বিপক্ষে) ভালো খেলি না—এটি বদলানোর এটাই সময়। ইতিহাস বদলায়, আশা করি আমরা পারব এটা বদলাতে।’
২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। জোহানেসবার্গের সেই ম্যাচে মিসবাহ-উল-হককে শেষ ওভারে আউট করে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা৷ প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফিটা উঠেছিল ধোনির হাতে। ১০ বছর পর আরও একটা আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান।
এই ফাইনালকে অ্যাশেজের চেয়ে বড় লড়াই দেখছেন আজহার, ‘ভারত আমাদের সঙ্গে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে (দ্বিপক্ষীয় সিরিজ)। এখন বড় মঞ্চে ভারত-পাকিস্তান লড়াই হচ্ছে। এটা অ্যাশেজের চেয়ে বড় লড়াই। দুই দেশ ক্রিকেট-পাগল, অনেক প্রত্যাশা। দুই দল ভীষণ চাপে। স্পনসর, সম্প্রচারকারীদের জন্য স্বপ্নের ফাইনাল। তবে সবকিছু নির্ভর করছে আমাদের ওপর, চাপটা কীভাবে ওই দিন সামলাই।
Share this content: